বজবজ: স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি চলছিল দীর্ঘদিনের। কিন্তু সেই খেসারত যে মেয়েকে দিতে হবে তা হয়ত ভাবেননি কেউ। স্টেশনে ট্রেন ধরতে যাওয়ার সময় মেয়েকে ধারল অস্ত্রের কোপ মারার অভিযোগ বাবার বিরুদ্ধে।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার বজবজ পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের বালুরঘাট এলাকা। অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম বাবলু দাস। জানা গিয়েছে, সুনন্দা দাস নামে ওই যুবতী স্টেশন যাওয়ার জন্য রওনা হচ্ছিলেন। অভিযোগ তখনই মেয়েটির বাবা ধারাল অস্ত্র নিয়ে কোপ মারে সুনন্দাকে। যুবতীর মাথায় এবং কাঁধে আঘাত করা হয়।
সুনন্দার চিৎকারে ছুটে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে দেখে এলাকারই পরিচিত এক মহিলা মেয়েকে বাঁচাতে যান। অভিযোগ, অভিযুক্ত ব্যক্তি তাঁকেও আঘাত করেন।
পরিবার সূত্রে খবর, এক সপ্তাহ আগে সুনন্দার বোনের সঙ্গে অশান্তি হয় তাঁর বাবার। সেই সময় বোনের সম্বন্ধে কুরুচিকর মন্তব্য করেন ওই ব্যক্তি।বাবার ওপর রাগ করে ছোটবোন বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসে দিদির বাড়িতে আশ্রয় নেয়। এরপর অভিযুক্তর সঙ্গে তার স্ত্রী-র অশান্তি হয়। ফলে সুনন্দার মাও চলে এসে তাঁর বাড়িতে আশ্রয় নেন। পরিবারের অভিযোগ এর জেরেই ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল বাবার মনে।
এই ঘটনার বিষয়ে সুনন্দার মা জানান, ‘প্রায় এক সপ্তাহ আগে সুনন্দার ছোট বোনের সঙ্গে অশান্তি হয় ওর বাবার। আমার ছোট মেয়েকে নিয়ে বাবা কুরুচিকর মন্তব্য করে। তারপর বাবার ওপর রাগ করে আমার ছোট মেয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসে দিদির বাড়ি অর্থাৎ সুনন্দাদের বাড়িতে আশ্রয় নেয়। তারপরই আমার সঙ্গে ওদের বাবার অশান্তি হলে আমিও বাড়ি থেকে বেরিয়ে বালুরঘাটে বড় মেয়ের বাড়ি চলে আসে। যেহেতু সুনন্দা আমাকে আর ওর ছোট বোনকে আশ্রয় দিয়েছে এই নিয়েই ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল ওর বাবার মনে। সেই কারণেই সুনন্দার ওপর চড়াও হয়।’ এই ঘটনায় বজবজ থানায় অভিযোগ দায়ের হলে বজবজ থানার পুলিশ অভিযুক্ত বাবাকে আটক করে।