সাগর: ঘড়ির কাঁটায় তখন৩টে বাজে। সমুদ্রের উত্তাল ঢেউ আছড়ে পড়ছে বালিয়াড়িতে। গঙ্গাসাগরের সমুদ্রতটে ভিড়ে ঠাসা। দূর-দূরান্ত থেকে আসা পুণ্যার্থীরা ব্যস্ত সাগরস্নানে। বারবার মাইকিং। বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের পক্ষ থেকে চলছে লাগাতার প্রচার। এই সবের মধ্যেই ঘটল বিপত্তি। সমুদ্রের জলে ডুবতে বসেছিলেন এক পুণ্যার্থী। তবে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের দুই প্রশিক্ষিক কর্মীর তৎপরতায় বরাত জোরে প্রাণে বেঁচে গেলেন তিনি।
জানা গিয়েছে, এ দিন বিকেল নাগাদ সমুদ্রতটজুড়ে আচমকাই বেজে ওঠে সাইরেন। সেই আওয়াজ শুনে তৎক্ষণাৎ সমুদ্রে ঝাঁপ দেন বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের ওই দুই প্রশিক্ষিত কর্মী। সমুদ্রের ঢেউ থেকে ডুবে যাওয়া সেই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে আনা হয় তটে। এরপর তাঁর পেট থেকে জল বের করা হয়। কিছুক্ষণের মধ্যে তিনি সুস্থ হয়ে ওঠেন।
উল্লেখ্য, এবারের সাগরমেলায় যে কোনও বিপর্যয় মোকাবিলায় কাজ করবে রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দফরের প্রশিক্ষিত ‘আপাদমিত্র’ কর্মীরা। এ দিন, সাগরতটে চলে তার মকড্রিল। সাগরতট ছাড়াও কাকদ্বীপের লট নম্বর আট, কচুবেড়িয়া, নামখানা ও চেমাগুড়ি পয়েন্টে মোতায়েন থাকবেন এই কর্মীরা। এনডিআরএফের পক্ষ থেকে জেলার বাছাই করা সিভিল ডিফেন্সের কর্মীদের সাত দিনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। সেই প্রশিক্ষণ শিবির থেকে যে কোন বিপর্যয় সামাল দিতে কী ধরনের ব্যবস্থা নিতে হবে তা প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল।
সেই প্রশিক্ষিতদের নিয়ে জেলাতে একটি টিম তৈরি করা হয়েছে। এই টিমে মহিলাও আছেন। এবারের মেলায় এই টিমের ওপর বিশেষ দায়িত্ব দিয়েছে জেলা প্রশাসন। যে কোনওরকম দুর্ঘটনা এড়াতে এই টিমের সদস্যরা কাজ করবে। এদিনের মকড্রিলের সময় উপস্থিত ছিলেন সাগরের বিডিও সুদীপ্ত মণ্ডল।