Extramarital Affairs : বাড়ির বউকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলেছিল, তা বলে এমন ‘শাস্তি’!
Extramarital Affairs : ইতিমধ্যেই সেই ভিডিও যায় কুলপি থানার পুলিশের কাছে। শনিবার বিকেলে কুলপি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতা।
কুলপি : একই দড়িতে বাঁধা রয়েছেন দু’জন। চিৎকার করছেন, থামতে বলছেন, কান্নায় ভেঙে পড়ছেন। কিন্তু, কথা শুনছে না কেউ। কখনও চুলির মুঠি ধরে মার, তো কখনও আবার লাগাতার কিল-চড়-ঘুষি। পিছন থেকে কেউ তো আবার বলে ওঠে, ‘কর, ভাল করে ভিডিয়ো কর। খুব শখ। দে ছড়িয়ে দে।’ এভাবেই পরকীয়া সন্দেহে এক মহিলা ও যুবককে মারধরের অভিযোগ উঠল দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলপিতে (South 24 pargana’s Kulpi)। সেই মর্মান্তিক ভিডিয়োও সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) ভাইরাল। TV9 বাংলা এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি। স্থানীয় সূত্রে খবর, ১ ফেব্রুয়ারি রাতে এক যুবকের সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় বাড়ির বউকে দেখতে পান শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা। তারপরেই তাঁকে ও ওই যুবকে গাছ বেঁধে বেধড়ক মারধর শুরু হয় বলে অভিযোগ। ঘটনার জেরে রাতভর ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় গোটা এলাকায়। অভিযোগ ওঠে, গ্রামবাসীর মারের চোটে মহিলার পরনের পোশাক ছিঁড়ে যায়। চেষ্টা করেও লজ্জা নিবারণের উপায় খুঁজে পাননি দড়িতে বাধা মহিলা। অভিযোগ, এরপরও থামনি মারমুখী জনতা। চলতে থাকে অকথ্য গালিগালাজ।
জানা যায়, শনিবার বিকেলে কুলপি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতা। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ওই গৃহবধূর শাশুড়ি, দেওর-সহ ১২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই বধূর স্বামী ভিনরাজ্যের শ্রমিক। এ ঘটনার পর থেকেই ওই গৃহবধূকে শ্বশুরবাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। বর্তমানে তিনি ডায়মন্ড হারবারে বাপের বাড়িতে রয়েছেন। তবে ফিরতে চাইছেন কুলপিতে। একইসঙ্গে দেওর ও শাশুড়ির কড়া শাস্তিরও দাবি তুলেছেন তিনি। নির্যাতিতা ওই মহিলা বলেন, “আমি যদি অন্যায় করে থাকি তাহলে থানায় জানাতে পারত। কিন্তু, এভাবে কেন গাছে বেঁধে মারধর করল। তারপর আবার গোটা ঘটনার ভিডিয়ো করে সোশ্যাল মিডিয়াতেও ছেড়ে দিল। আমার শাশুড়ি আর আমার দেওয়ারই আসলে ঘটনার পিছনে আছে। আমি ওদের শাস্তি চাই। আইন মেনে যে শাস্তি দেওয়া যায় পুলিশ দিক। আমাকে বাড়িতে ঢুকতে দিচ্ছে না। আমি সেখানেও যেতে চাই।”
ঘটনা প্রসঙ্গে ক্ষোভ প্রকাশ করেন এলাকার এক যুব তৃণমূল নেতাও। তিনি বলেন, “কয়েকদিন আগে এখানে বাইরে থেকে একটা ছেলে এসেছিল। ওই মহিলার সঙ্গে ওই ছেলেটির অবৈধ সম্পর্ক ছিল। গতকাল ওরা আপত্তিজনক অবস্থায় ধরা পড়ে। তারপরেই ওদের গাছে বেঁধে মারধর করা হয়। ওই ঘটনার ভিডিয়ো করা হয়। তারপর তা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়েও দেওয়া হয়। ওই কারণেই কিছু লোকজনকে পুলিশ ধরে নিয়ে গিয়েছে। আমার মনে হয় আইন হাতে না নিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হওয়া যেত। এইভাবে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছাড়া ঠিক হয়নি। অন্যভাবেই ঘটনাটা মেটানো যেত।”