দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ইতিমধ্যে বেরিয়েছে মাধ্যমিকের ফল। আর কয়েকদিন বাকি ছিল উচ্চ-মাধ্যমিকের ফল প্রকাশের। কিন্তু তার আগেই মর্মান্তিক পরিণতি। উদ্ধার হল এক পরীক্ষার্থীর মৃতদেহ।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার মন্দিরবাজার থানার ঝাপবেড়িয়া ঘোষপাড়ার ঘটনা। সেখানে বাস করতেন ওই পড়ুয়া সুশান্ত ঘোষ (১৮)। শনিবার তার মৃতদেহ উদ্ধার হয়। জানা গিয়েছে, স্থানীয় ঝাপবেড়িয়া হাইস্কুলে কলা বিভাগের পড়ুয়া ছিল সুশান্ত। পরিবার সূত্রে খবর, পড়াশোনায় যথেষ্ঠ ভালো ছিল সে। এরপর শুক্রবার সন্ধে নাগাদ স্থানীয় বাজারে যাওয়ার নাম করে বেরিয়েছিল ওই পড়ুয়া। অনেকক্ষণ কেটে যাওয়ার পরও বাড়ির ছেলে বাড়িতে না ফেরায় চিন্তায় পড়ে যান পরিবারের সদস্যরা। বারংবার ফোন করা হলেও উত্তর দেয়নি সুশান্ত। এরপর সন্ধ্যে গড়িয়ে নামে রাত। তারপরও বাড়িতে ফেরেনি ছেলে। শুরু হয় খোঁজাখুঁজি। এরপর ঘরের ছাদে রাত্রি ৯টা নাগাদ চিলেকোঠায় ঝুলন্ত অবস্থায় সুশান্তকে দেখতে পান পরিবারের সদস্যরা।
পরে খবর পেয়ে পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। তবে কি কারণে আত্মঘাতী হল তা নিয়ে পরিবারের লোকজন কিছুই বলতে পারছেন না। পুলিশ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। প্রেমঘটিত কারণ না কি পরীক্ষা খারাপ হওয়ার জন্য আত্মহত্যার পথ বেছে নিল ওই ছাত্র তদন্তে নেমে সমস্ত দিক খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তিন সন্তানের মধ্যে বড় ছেলে সুশান্তের মৃত্যুতে শোকের ছায়া পরিবারে।
এই ছেলেটির দাদা বলেন, ‘আমরা জানি না ভাই কী ঘটিয়েছিল। রাত ৯টা সাড়ে ৯টা নাগাদ থেকে খোঁজাখুঁজি করছিলাম। এরপর বাইরে খুঁজতে-খুঁজতে আমার কাকু বাড়ির ভিতরে গেল। তখন দেখল ছাদের ঘরে একটা অ্যাসবেস্টার রয়েছে। সেখানেই ঝুলছে ভাই। আত্মহত্যা করেছে। গলায় গামছা দিয়ে ঝুলে পড়েছে ভাই। সঙ্গে-সঙ্গে ওকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাই। একটি হাসপাতাল নয়, তিনটি হাসপাতালে নিয়ে যাই। কিন্তু-কিন্তু কেউ বাঁচাতে পারেনি ওকে।’