ভাঙড়: সতেরো বছরের বৈবাহিক সম্পর্ক। প্রথমে-প্রথমে সব ঠিকঠাক ছিল। কিন্তু পরে সবটা যেন বিভীষিকা। স্বামীর হাবভাবে সন্দেহ হয়েছিল আগেই। তাই প্রতিবাদও করেছিলেন। কিন্তু এর পরিণতি যে এমন হবে ভাবতেও পারেননি।
ভাঙড়ের চণ্ডিহাটের ঘটনা। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, সেরানি বিবির সঙ্গে বছর সতেরো আগে বিয়ে হয় ভাঙড়ের চণ্ডিহাটের রাজু আহম্মেদের। বিয়ের পর থেকে পারিবারিক কলহ লেগেই থাকত ওই পরিবারে। সেরিনা কোনওভাবে জানতে পারেন তাঁর স্বামীর সঙ্গে নিজেরই বৌদির পরকীয়ার সম্পর্ক রয়েছে। এরই প্রতিবাদ করেন সেরিনা।
অভিযোগ, তখনই পরিবারের সদস্যরা তাঁকে মারধর করতে শুরু করেন। এরপর শুক্রবার অশান্তি পৌঁছায় চরমে। অভিযোগ, তখনই শাশুড়ি ধারালো অস্ত্র নিয়ে কোপ মারে ওই গৃহবধূকে। এ দিকে, গৃহবধূর বিরুদ্ধেও অভিযোগ প্রৌঢ়াকে পেটানোর।ঘটনায় দুই পক্ষই কাশিপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। ঘটনার তদন্তে কাশিপুর থানার পুলিশ। ওই গৃহবধূর শাশুড়ির বলেন, ‘আমায় মারধর করেছে। কাজের কথা বলেছিলাম তখনই মারধর করেছে।’ নির্যাতিতা বলেন, ‘বৌদির সঙ্গে সম্পর্ক ছিল। আমি প্রতিবাদ করতে গিয়েছিলাম তখন আমার শাশুড়ি আমায় মারধর করে। শুধু তাই নয়, শাশুড়ি, যা স্বামী, ভাসুর সবাই আমায় মারধর করেছে। ওদের আগে থেকেই সম্পর্ক ছিল।’
বস্তুত, কয়েকদিন আগে সাতসকালে উদ্ধার হল মহিলার ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ। শনিবার সকালে ওই দেহ দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। মহিলার ধড় দেখতে পেলেও মাথা দেখা যায়নি প্রথমে। পরে দেখা যায় নয়ানজুলিতে পড়ে রয়েছে দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন করা সেই মাথা। ঘটনাটি ঘটেছে বাসন্তী থানা এলাকার উত্তর মোকামবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের হাড়ভাঙি এলাকায়। এ দিন সকালে স্থানীয় অটোস্ট্যান্ড লাগোয়া মাঠে ওই মহিলার দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। মৃতার নাম তমিনা সর্দার (২৮)। মাস কয়েক আগেই বিয়ে হয়েছিল তাঁর।