দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠেছে বেআইনি ইট ভাটা। পরিবেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে যথেচ্ছ পরিমাণে তৈরি হচ্ছে এই ইটভাটা। খবর পেতেই ইটভাটা ভাঙার নির্দেশ হাইকোর্টের।
পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবনের উপকূলবর্তী কুলতলী, জয়নগর, ক্যানিং, বাসন্তী, এলাকায় গজিয়ে উঠেছে অসংখ্য ইটভাটা। মূলত নদী তীরবর্তী এলাকায় ম্যানগ্রোভ কেটে কিংবা নদীর চরের মাটি নিয়েই সেই সমস্ত বেআইনি ইট ভাটা চালানো হচ্ছে। আর যা হচ্ছে স্থানীয় প্রশাসনের একেবারে নাকের ডগায়। এতে ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে সুন্দরবনের পরিবেশের।
পরিবেশবিদরা বলছেন, চরিত্র বদলে যাচ্ছে নদীর গতিপথের। যা নিয়ে একাধিকবার প্রতিবাদ করতে দেখা গিয়েছিল পরিবেশবিদের। অবশেষে হাইকোর্ট এই সমস্ত বেআইনি ইটভাটা ভাঙার নির্দেশ দিয়েছে। একই সঙ্গে ওই ইটভাটার মালিকদের ভাঙার সমস্ত খরচ যোগানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
যদিও, এ বিষয়ে মুখ খুলতে নারাজ সেই সব বেআইনি ইট ভাটার মালিকরা। তবে প্রশাসন ও শাসকদলের যোগসাজশে এই সমস্ত বেআইনি ইটভাটা একের পর এক গড়ে উঠছে বলে অভিযোগ জানিয়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপি নেতা বলেন, ‘যত্র-তত্র গজিয়ে উঠেছে ব্যাঙের ছাতার মত ইটভাটা। আর এগুলি শাসকদলের মদত রয়েছে।’ এই বিষয়ে এক মহিলা শ্রমিক বলেন, ‘ইটভাটা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে শুনেছি। কিন্তু এই ইটভাটা বন্ধ হলে আমরা খাব কী? সংসার চলবে কী করে?’
উল্লেখ্য, সবথেকে বেশি ইটভাটা এই ভাবে গড়ে উঠেছে কুলতলি থানা এলাকায়। তাই কুলতলির বিজেপি নেতা উত্তম হালদার সরাসরি শাসক দলের নেতৃত্বকেই কাঠগোড়ায় তুলেছেন। যদিও বহু সংখ্যক মানুষ এই সমস্ত ইটভাটাগুলোতে শ্রমিকের কাজ করে দিন গুজরান করেন। তাই ইটভাটা গুলি বন্ধ হলে সেই সমস্ত অসহায় মানুষ কাজ হারাবে। সে ক্ষেত্রে মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে আদালতের নির্দেশ মেনে কীভাবে বিকল্প ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ইটভাটা গুলি চালানো যায় সে বিষয়ে পরিবেশবিদদের কাছে আবেদন জানিয়েছেন দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার তৃণমূলের সুন্দরবন সাংগঠনিক জেলার যুব তৃণমূল সভাপতি বাপি হালদার। ইট ভাটা শ্রমিকরাও কাজ হারানোর আশঙ্কা করছেন। যদিও, তৃণমূলের কারোর প্রতিক্রিয়া মেলেনি।