Basanti: রাত্রিবেলা আচমকা ঘরে ঢুকল প্রতিবেশীরা, বাড়ির বৌ-এর সঙ্গে কি না শেষমেশ…

TV9 Bangla Digital | Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Jun 19, 2022 | 7:26 AM

Southy 24 Pargana: দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীর ঘটনা। সেখানে শিরিশ গাছের শাখা-প্রশাখা কাটাকে কেন্দ্র করে দুই পরিবারে মারামারিতে জখম হলেন একই পরিবার এক গৃহবধূ সহ মোট তিনজন।

Basanti: রাত্রিবেলা আচমকা ঘরে ঢুকল প্রতিবেশীরা, বাড়ির বৌ-এর সঙ্গে কি না শেষমেশ...
ক্যানিংয়ে মারধরে জখম (নিজস্ব ছবি)

Follow Us

বাসন্তী: গাছের ডাল এসে পড়েছে প্রতিবেশীদের বাড়িতে। যার কারণে অসুবিধা পড়তে হচ্ছে তাঁদের। সেই কারণে গাছটির শাখা-প্রশাখা কাটতে বলেছিলেন। এ দিকে, যাঁদের গাছ তাঁরা আবার ডাল-পাল ছাঁটতে চাননি। এই নিয়েই মূলত দুই পরিবারের মধ্যে চলছিল বচসা। তবে শেষমেশ সেই ঝামেলা যে এই পর্যায়ে পৌঁছাবে তা কেউ ভাবতে পারেননি।

দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীর ঘটনা। সেখানে শিরিশ গাছের শাখা-প্রশাখা কাটাকে কেন্দ্র করে দুই পরিবারে মারামারিতে জখম হলেন একই পরিবার এক গৃহবধূ সহ মোট তিনজন। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বাসন্তী থানার অন্তর্গত ভরতগড় গ্রাম পঞ্চায়েতের ১২ নম্বর গরাণবোস হালদারপাড়া গ্রামে। রাতের অন্ধকারে এমন ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছে সাহাবুদ্দিন কাজি ও তাঁর ছেলে আবুকালাম কাজি ও ছেলের স্ত্রী আকলিমা কাজি। ঘটনার বিষয়ে বাসন্তী থানায় পরে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন কাজি পরিবারের সদস্যরা। সেই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে বাসন্তী থানার পুলিশ।

পরিবার সূত্রে খবর, সাহাবুদ্দিনের একটি শিরিশ গাছের শাখা প্রতিবেশী আমিন শেখের ঘরের উপর পড়ে রয়েছে।গাছের সেই শাখা-প্রশাখা নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে গোলমাল শুরু হয়। গাছের শাখা কেটে নেওয়ার জন্য কাজি পরিবারকে জানায়। কাজি পরিবারের দাবি, শাখা-প্রশাখা রাস্তার উপর রয়েছে। কাউকে ক্ষতি করছে না ফলে কাটা যাবে না। প্রয়োজনে লোকজন ডেকে দেখান হোক। যদি ক্ষতি হয় তবে গাছের শাখাপ্রশাখা কাটা যাবে।

এরপরই অভিযোগ, শনিবার রাত্রিবেলা আচমকা দা দিয়ে গাছের শাখাপ্রশাখা কেটে ফেলে আমিন শেখ ও তাঁর বাড়ির লোকজন।কেন গাছের শাখা প্রশাখা কাটা হল প্রতিবাদ করেন গৃহকর্তা সাহাবুদ্দিন কাজি ও তাঁর পরিবারের লোকজন। অভিযোগ, আচমকা আমিন শেখ জনা কুড়ি লোকজন নিয়ে ধারালো দা, লাঠি এবং রাস্তা পড়ে থাকা ইট দিয়ে সাহাবুদ্দিনকে আক্রমণ করে বেধড়ক মারধর করে তার মাথা ফাটিয়ে দেয়। রক্তাক্ত অবস্থায় চিৎকার করলে মারধরের হাত থেকে তাঁকে উদ্ধার করার জন্য এগিয়ে যায় ছেলে আবুকালাম।

অভিযোগ, তাঁকে ও বেধড়ক মারধর করা হয়।এমনকী বাড়িতে চড়াও হয়ে তাঁর স্ত্রী আকলিমাকে ও বেধড়ক মারধর করা হয়। স্থানীয়রা জখমদেরকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য রাতেই স্থানীয় একটি নার্সিংহোমে নিয়ে যায়। সেখানে আকলিমার অবস্থা সংঙ্কটজনক হলে রাতেই তাঁকে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন চিকিৎসকরা। বর্তমানে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ওই গৃহবধূ। তাঁর মাথার সিটিস্ক্যান করতে হয়েছে।

Next Article