ডায়মন্ডহারবার: সমুদ্রে মাছ ধরা নিয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি ছিল অনেকদিন ধরেই। তবে মৎস্যজীবীদের জন্য সুখবর। মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে উঠে যায় গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার উপর সরকারি নিষেধাজ্ঞা। সেই মতো সমুদ্রে রওনা দেয় ট্রলার। উঠে আসে টনের পর টন ইলিশ। প্রায় ১১০ টন ইলিশ শনিবার রাতেই ডায়মন্ড হারবারের নগেন্দ্রবাজারের আড়তে পাইকারি দরে বিক্রি হতে চলছে।
৫০০ থেকে ৬০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের নিলাম হয়েছে কেজি প্রতি ৬০০ টাকা। ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রাম ইলিশের নিলাম হয়েছে কেজি প্রতি ৭০০ টাকা। ১ কেজি ওজনের আশেপাশে ইলিশের নিলাম হয়েছে প্রত্যেক কেজিতে ১২০০ টাকায়। কিন্তু বড় ইলিশের সংখ্যা ছিল একেবারেই হাতে গোনা।
রবিবার সকাল থেকে পাইকারীদের হাত ধরে সেই ইলিশ কলকাতা সহ রাজ্যের বিভিন্ন বাজারে ছড়িয়ে পড়বে। আগামী দিনে ৫০০ গ্রাম ওজনের কম ইলিশ যাতে না ধরা হয়, তার ওপরও নজর রাখা হচ্ছে। এর পাশাপাশি মৎস্যজীবীদেরকেও সচেতন করা হচ্ছে খারাপ আবহাওয়ার সতর্কবার্তা উপেক্ষা করে যাতে কোনও ট্রলার গভীর সমুদ্রে না যায়। তবে খারাপ আবহাওয়া কেটে যাওয়ার পর আগামী সপ্তাহে আরও বেশি পরিমাণ ইলিশ ধরা পড়বে বলে আশাবাদী মৎস্যজীবী থেকে আড়ত মালিকরা।
এদিকে, ইলিশ ধরতে গিয়ে কম কাঠখড় পোড়াতে হয়নি মৎস্যজীবীদের। নিষেধাজ্ঞা ওঠার পর গত পরশু সমুদ্রে ইলিশ ধরতে যায় ট্রলার। সেই সময় বঙ্গোপসাগরেই মৎস্যজীবী সমেত ট্রলার এফবি স্বর্ণময়ী ডুবে যায়। ট্রলারে ১৮ জন মৎস্যজীবী ছিলেন। তবে তাঁদের সকলকেই উদ্ধার করা সম্ভব হয়।
শনিবার দুপুরে বঙ্গোপসাগরের কেঁদো দ্বীপের অন্তর্গত প্রায় পাঁচ কিলোমিটার গভীরে ছাইমারি দ্বীপের কাছে ভয়ঙ্কর এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। সেই মৎস্যজীবী ইউনিয়ন সূত্রে জানা যায়, গত ১৫ তারিখ সকালে নামখানা ঘাট থেকে পাড়ি দিয়েছিল এই ট্রলারটি। এরপর শুক্রবার দুপুর থেকে খারাপ আবহাওয়ার জন্য ট্রলারটি ছাইমারি দ্বীপের কাছে দাঁড়িয়ে ছিল। তখনই ট্রলারটির হোর্স পাইপ ফেটে যায়। সেই পাইপ দিয়ে জল ঢুকতে শুরু করে। বাধে বিপত্তি। মৎস্যজীবীদের কথা অনুযায়ী, একসময় উত্তাল ঢেউয়ের মধ্যে পড়ে ট্রলারটি পুরোপুরি ডুবে সেটি। তবে ট্রলারের মধ্যে থাকা সমস্ত মৎস্যজীবী উদ্ধার হওয়ায় স্বস্তি মেলে।