কুলতলি: নিজের স্ত্রীকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল সিভিক ভলান্টিয়রের বিরুদ্ধে। মৃতের পরিবারের দাবি, রাত্রিবেলা মেয়ের শ্বশুরবাড়ি থেকে খবর দিয়েছিল তাঁদের মেয়ে অসুস্থ। দ্রুত বধূর শ্বশুরবাড়িতে গেলে তাঁরা দেখতে পান মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন তাঁদের মেয়ে। গোটা ঘটনায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেছে পরিবার। ঘটনাস্থল দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলি ব্লকের মৈপিট কোস্টাল থানার মধ্য গুড়গুড়িয়া এলাকার ঘটনা। মৃত মহিলার নাম টিয়া মণ্ডল। পরিবার সূত্রে খবর, বারো বছর আগে টিয়ার সঙ্গে বিয়ে হয় প্রদীপ মণ্ডলের। তিনি পেশায় সিভিক ভলান্টিয়র। দম্পতির দশ বছরের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে।
অভিযোগ, রবিবার রাত্রিবেলা টিয়া বাপের বাড়ির কাছে শ্বশুরবাড়ির লোকজন খবর দেয় যে তাঁদের মেয়ে অসুস্থ। দ্রুত মেয়েকে দেখতে পৌঁছন বাবা-মা। এরপর সেখানে গিয়ে দেখতে পান ঘরের মেঝেতে পড়ে রয়েছেন ওই মহিলা। মৃতের পরিবারের দাবি, টিয়াকে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে। খবর পেয়ে দেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের পাঠিনো হয়েছে। যদিও ঘটনার পর থেকে পলাতক প্রদীপ। পুলিশ সূত্রে খবর রবিবার রাত্রে পরিবারে অশান্তি হয়,পরে ঝুলন্ত অবস্থায় টিয়াকে উদ্ধার করে পুলিশ। মৃতের পরিবারের তরফ থেকে খুনের অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
মৃতের দাদা বলেন, “বিয়ের পর থেকে ঝামেলা হত। যেহেতু ও সিভিক ভলান্টিয়র সেই কারণে আমরা কোনও পদক্ষেপ করতে পারিনি। কালকে ফোন করে বলছে বোন নাকি গলায় দড়ি দিয়েছে। কিন্তু আমরা বুঝলাম গলার টুটি চিপে ধরে খুন করেছে।”