ভাঙড়: সপ্তম দফায় ভোট ছিল যাদবপুরে। সেই যাদবপুরের মধ্যেই ভাঙড় বিধানসভা কেন্দ্র। কিন্তু ভোটের দিন এলাকায় দেখা মেলেনি ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীর। ভোটগণনা পর্ব মিটে যাওয়ার পর বৃহস্পতিবার ভাঙড়ে পা রাখলেন আইএসএফ চেয়ারম্যান নওশাদ সিদ্দিকী। যাদবপুর থেকে আইএসএফ যাঁকে প্রার্থী করেছিল, তিনি চার নম্বরে শেষ করেছেন লড়াই। যদিও ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়কের দাবি, ভাঙড় থেকে আইএসএফ অন্তত ৫০ হাজার ভোটের লিডে রয়েছে। শুধু তাই নয়, ডায়মন্ড হারবার থেকে যদি দল তাঁকে ভোটে দাঁড়ানোর অনুমোদন দিত, তাহলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারাতে পারতেন বলেও দাবি নওশাদের।
নওশাদ বলেন, ‘ভাঙড় থেকে আমরা কম করে হলেও ৫০ হাজার ভোটের লিডে রয়েছি। ভাঙড়ের ভোটাররা আইএসএফের সঙ্গে রয়েছেন। হিংসা করে আইএসএফকে ভাঙড়ের বুক থেকে মোছা যাবে না।’ উল্লেখ্য, লোকসভা ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার অনেক আগে থেকেই ডায়মন্ড হারবারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ভোটে দাঁড়ানোর ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন নওশাদ। যদিও শেষ পর্যন্ত তিনি আর ভোটে দাঁড়াননি। নওশাদের যুক্তি ছিল, দলের অন্দরে গণতান্ত্রিক পরিকাঠামো রয়েছে। দল যা সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাই হয়েছে।
শেষে ডায়মন্ড হারবারে আইএসএফ প্রার্থী করেছিল মঞ্জু লস্করকে। তিনিও চার নম্বরেই লড়াই শেষ করেছেন। প্রাপ্ত ভোটের নিরিখে অভিষেকের থেকে ১০ লাখেরও বেশি ভোটে পিছিয়ে। সেই প্রেক্ষিতে যদি লোকসভা ভোটে ডায়মন্ড হারবার থেকে নওশাদ দাঁড়াতেন, তবে কি অভিষেকের মার্জিন কমানো যেত? আইএসএফ চেয়ারম্যান অবশ্য এখনও দাবি করছেন, ডায়মন্ড হারবারে তিনি ভোটে দাঁড়ালে অভিষেককে হারাতে পারতেন। নওশাদ বলেন, ‘আমার ইচ্ছা ছিল। বলেছিলাম, দল অনুমোদন দিলে লড়াই করব। দল অনুমোদন দেয়নি। আমি যদি ভোটে দাঁড়াতাম, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারাতাম। প্রাক্তন করতাম।’