দক্ষিণ ২৪ পরগনা: কোভিড আবহে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে জনজীবন। সম্প্রতি রাজনৈতিক সংঘর্ষের জেরে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল ভাঙড় (Bhangar)। ধীরে ধীরে পরিবেশ শান্ত হলেও ছাই চাপা আগুন থেকেই গিয়েছে। অন্তত, ভাঙড়ে এসে তেমনটাই জানালেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। অন্যদিকে, বিগত দুইদিন ধরে ভাঙড়ের সকল স্কুল-কলেজগুলি পরিদর্শন করেন ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক কার্তিক চন্দ্র রায় ও তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম। কথা বলেন সাধারণ মানুষের সঙ্গেও।
আইএসএফ বিধায়ক নওশাদের (Nawshad Siddique) মন্তব্য, “যারা আইএসএফ ছাড়ছে তাদের দল ছাড়তে বাধ্য করা হচ্ছে বা ভয় দেখানো হচ্ছে। মাঝেরহাটে আমি বেশ কিছুদিন আগে বাড়ি ভাড়া নিয়েছিলাম, কিন্তু থাকতে পারিনি। তৃণমূলী সন্ত্রাসের জেরে আমাকে সেভাবে পায়নি এলাকার মানুষ। ইতিমধ্যে বেশকিছু আইএসএফ কর্মী তৃণমূলে যোগ দিয়েছে। তবে সেই যোগদান ভক্তিতে নয়, ভয়ে। তবে আমি ভাঙড়ের মানুষকে, আমার আইএসএফ ভাইদের বলব, ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আমি আপনাদের পাশে রয়েছি।”
এদিকে, মঙ্গলবার স্কুল খোলার পর থেকেই তত্পর প্রশাসন। ভাঙড়ের ২ নম্বর ব্লকের অধীনস্থ সকল স্কুলগুলি পরিদর্শন করেন ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক কার্তিক চন্দ্র রায়। সঙ্গে ছিলেন, ভাঙড় ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি আরাবুল ইসলাম। কাঁঠালিয়া, সাতুলিয়া, ভগবানপুর-সহ একাধিক স্কুল পরিদর্শন করেন তাঁরা। এখানেই শেষ নয়, এলাকার সাধারণ মানুষের সঙ্গে সংযোগ সাধন করেন তাঁরা।
বুধবার, পাড়ায় পাড়ায় গিয়ে সকল এলাকাবাসী ‘দুয়ারে সরকার’, ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’-এর মতো সরকারি সুযোগসুবিধাগুলি সকলে ঠিকঠাক পাচ্ছেন কি না তা খোঁজ নিয়ে দেখেন বিডিও ও তৃণমূল নেতা। এদিন সকালে, বিডিও কার্তিকচন্দ্র রায় সপারিষদ হাজির হন ভোগালি ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের চিলেতলা গ্রামে। সেখানকার সাধারণ কৃষক, ব্যবসায়ী গৃহবধূর সঙ্গে কথা বলেন।
কার্তিকের সঙ্গে ছিলেন ভাঙড় ২ পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি আরাবুল ইসলাম এবং এলাকার প্রধান মোদাসসের হোসেন সহ অনান্যরা। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে টাকা পেয়ে অনেকেই সরকারকে ধন্যবাদ জানান। আবার বার্ধক্য ভাতা কিংবা কৃষক বন্ধু না পেয়ে কেউ কেউ অনুযোগ করেন। তবে এ ভাবে শীতের সকালে প্রশাসনের কর্তারা পাড়ায় পাড়ায় ঘুরবেন তা স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি চিলেতলা গ্রামের মানুষজন। তবে শুধু চিলেতলা গ্রাম নয় এলাকার সবকটি পঞ্চায়েতের একাধিক গ্রামে প্রায় রোজই ঢুঁ মারছেন এই টিম । তাতে সাধারণ সমস্যার সমাধান হচ্ছে বলেই মনে করছেন সরকারি কর্তারা।
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই রাজনৈতিক সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল ভাঙড়। আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির অভিযোগ ছিল, শাসক শিবির ইচ্ছে করেই সন্ত্রাস ছড়ানোর চেষ্টা করছে। তবে এই অভিযোগ প্রথম নয়। বিভিন্ন সময়েই এই অভিযোগ করেছে ভাইজানের দল। কয়েকদিন আগেই শিরোনামে উঠে আসে ভাঙড়। আইএসএফ (ISF) -তৃণমূলের (TMC) সংঘর্ষ, হামলা-পাল্টা হামলা, পুলিশি ধরপাকড়, বোমা-গুলিতে ত্র্যস্ত এলাকা। তবে গত কয়েকদিনের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে প্রতীয়মান ভাঙড়ের (Bhangar) ভাঙাগোড়ার খেলা।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ভাঙাগড়ার খেলায় ভাঙড়ে জমি হারাচ্ছে আইএসএফ। আর নতুন করে ভিত শক্ত করছে তৃণমূল। সেখানে, যখন, আইএসএফ কেবল শাসক শিবিরের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ করে চলেছে, সেখানে শাসক শিবির জনসংযোগে জোর দিয়েছে। আর এই জনসংযোগের নেপথ্যে যে একটি বিশেষ ক্ষমতায়নের প্রচেষ্টা রয়েছে তা অস্বীকার করতে পারছে না শাসক শিবির।
ভাঙড়ে ধীরে ধীরে বদলাচ্ছে রাজনৈতিক সমীকরণ। ক্রমেই কোণঠাসা হচ্ছে সংযুক্তো মোর্চা। একদা ‘লালদূর্গে’ ক্রমেই শক্তি বাড়াচ্ছে ঘাসফুল। আইএসএফ যে ভাঙড়কে ঘিরে গোটা রাজ্যে আধিপত্য বিস্তারের চেষ্ঠা করেছিল ভাঙড়ের সেই গড় তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়ছে। ভাঙড় বিধানসভা এলাকার পোলেরহাট ভোগালি সানপুকুর প্রাণগঞ্জ নারায়ণপুর-সহ একাধিক অঞ্চলে আইএসএফ ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিচ্ছে কর্মী সমর্থকরা।
দেখুন ভিডিয়ো:
আরও পড়ুন: Adhir Chowdhury: ‘কান ধরে ওঠবোস করে ক্ষমা চান দিদির দলের লোক’
দক্ষিণ ২৪ পরগনা: কোভিড আবহে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে জনজীবন। সম্প্রতি রাজনৈতিক সংঘর্ষের জেরে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল ভাঙড় (Bhangar)। ধীরে ধীরে পরিবেশ শান্ত হলেও ছাই চাপা আগুন থেকেই গিয়েছে। অন্তত, ভাঙড়ে এসে তেমনটাই জানালেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। অন্যদিকে, বিগত দুইদিন ধরে ভাঙড়ের সকল স্কুল-কলেজগুলি পরিদর্শন করেন ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক কার্তিক চন্দ্র রায় ও তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম। কথা বলেন সাধারণ মানুষের সঙ্গেও।
আইএসএফ বিধায়ক নওশাদের (Nawshad Siddique) মন্তব্য, “যারা আইএসএফ ছাড়ছে তাদের দল ছাড়তে বাধ্য করা হচ্ছে বা ভয় দেখানো হচ্ছে। মাঝেরহাটে আমি বেশ কিছুদিন আগে বাড়ি ভাড়া নিয়েছিলাম, কিন্তু থাকতে পারিনি। তৃণমূলী সন্ত্রাসের জেরে আমাকে সেভাবে পায়নি এলাকার মানুষ। ইতিমধ্যে বেশকিছু আইএসএফ কর্মী তৃণমূলে যোগ দিয়েছে। তবে সেই যোগদান ভক্তিতে নয়, ভয়ে। তবে আমি ভাঙড়ের মানুষকে, আমার আইএসএফ ভাইদের বলব, ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আমি আপনাদের পাশে রয়েছি।”
এদিকে, মঙ্গলবার স্কুল খোলার পর থেকেই তত্পর প্রশাসন। ভাঙড়ের ২ নম্বর ব্লকের অধীনস্থ সকল স্কুলগুলি পরিদর্শন করেন ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক কার্তিক চন্দ্র রায়। সঙ্গে ছিলেন, ভাঙড় ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি আরাবুল ইসলাম। কাঁঠালিয়া, সাতুলিয়া, ভগবানপুর-সহ একাধিক স্কুল পরিদর্শন করেন তাঁরা। এখানেই শেষ নয়, এলাকার সাধারণ মানুষের সঙ্গে সংযোগ সাধন করেন তাঁরা।
বুধবার, পাড়ায় পাড়ায় গিয়ে সকল এলাকাবাসী ‘দুয়ারে সরকার’, ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’-এর মতো সরকারি সুযোগসুবিধাগুলি সকলে ঠিকঠাক পাচ্ছেন কি না তা খোঁজ নিয়ে দেখেন বিডিও ও তৃণমূল নেতা। এদিন সকালে, বিডিও কার্তিকচন্দ্র রায় সপারিষদ হাজির হন ভোগালি ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের চিলেতলা গ্রামে। সেখানকার সাধারণ কৃষক, ব্যবসায়ী গৃহবধূর সঙ্গে কথা বলেন।
কার্তিকের সঙ্গে ছিলেন ভাঙড় ২ পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি আরাবুল ইসলাম এবং এলাকার প্রধান মোদাসসের হোসেন সহ অনান্যরা। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে টাকা পেয়ে অনেকেই সরকারকে ধন্যবাদ জানান। আবার বার্ধক্য ভাতা কিংবা কৃষক বন্ধু না পেয়ে কেউ কেউ অনুযোগ করেন। তবে এ ভাবে শীতের সকালে প্রশাসনের কর্তারা পাড়ায় পাড়ায় ঘুরবেন তা স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি চিলেতলা গ্রামের মানুষজন। তবে শুধু চিলেতলা গ্রাম নয় এলাকার সবকটি পঞ্চায়েতের একাধিক গ্রামে প্রায় রোজই ঢুঁ মারছেন এই টিম । তাতে সাধারণ সমস্যার সমাধান হচ্ছে বলেই মনে করছেন সরকারি কর্তারা।
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই রাজনৈতিক সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল ভাঙড়। আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির অভিযোগ ছিল, শাসক শিবির ইচ্ছে করেই সন্ত্রাস ছড়ানোর চেষ্টা করছে। তবে এই অভিযোগ প্রথম নয়। বিভিন্ন সময়েই এই অভিযোগ করেছে ভাইজানের দল। কয়েকদিন আগেই শিরোনামে উঠে আসে ভাঙড়। আইএসএফ (ISF) -তৃণমূলের (TMC) সংঘর্ষ, হামলা-পাল্টা হামলা, পুলিশি ধরপাকড়, বোমা-গুলিতে ত্র্যস্ত এলাকা। তবে গত কয়েকদিনের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে প্রতীয়মান ভাঙড়ের (Bhangar) ভাঙাগোড়ার খেলা।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ভাঙাগড়ার খেলায় ভাঙড়ে জমি হারাচ্ছে আইএসএফ। আর নতুন করে ভিত শক্ত করছে তৃণমূল। সেখানে, যখন, আইএসএফ কেবল শাসক শিবিরের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ করে চলেছে, সেখানে শাসক শিবির জনসংযোগে জোর দিয়েছে। আর এই জনসংযোগের নেপথ্যে যে একটি বিশেষ ক্ষমতায়নের প্রচেষ্টা রয়েছে তা অস্বীকার করতে পারছে না শাসক শিবির।
ভাঙড়ে ধীরে ধীরে বদলাচ্ছে রাজনৈতিক সমীকরণ। ক্রমেই কোণঠাসা হচ্ছে সংযুক্তো মোর্চা। একদা ‘লালদূর্গে’ ক্রমেই শক্তি বাড়াচ্ছে ঘাসফুল। আইএসএফ যে ভাঙড়কে ঘিরে গোটা রাজ্যে আধিপত্য বিস্তারের চেষ্ঠা করেছিল ভাঙড়ের সেই গড় তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়ছে। ভাঙড় বিধানসভা এলাকার পোলেরহাট ভোগালি সানপুকুর প্রাণগঞ্জ নারায়ণপুর-সহ একাধিক অঞ্চলে আইএসএফ ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিচ্ছে কর্মী সমর্থকরা।
দেখুন ভিডিয়ো:
আরও পড়ুন: Adhir Chowdhury: ‘কান ধরে ওঠবোস করে ক্ষমা চান দিদির দলের লোক’