কাকদ্বীপ: বালেশ্বরের ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা (Baleshwar train accident) নাড়িয়ে দিয়েছে গোটা দেশকে। অভিশপ্ত করমণ্ডল এক্সপ্রেসে ছিলেন বাংলার বহু যাত্রী। এই অভিশপ্ত করমণ্ডলেই (Coromandel Express Accident) ছিলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার অনেক বাসিন্দাই। মারা গিয়েছেন কাকদ্বীপের মধুসূদনপুর পঞ্চায়েতের দক্ষিণ ৬৪ বাড়ি গ্রামের বাসিন্দা সানোয়ার মোল্লা। তিনি ছাড়াও মৃতদের তালিকায় এই গ্রামের একাধিক জন রয়েছেন। এদিন সানোয়ারের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে কাকদ্বীপের মধুসূদনপুর পঞ্চায়েতের দক্ষিণ ৬৪ বাড়ি গ্রামে যাচ্ছিলেন ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী (ISF MLA Naushad Siddiqui)। গ্রামে ঢোকার মুখেই তাঁর সামনেই তুমুল সংঘর্ষ হয় আইএস-তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের।
এই ঘটনায় আইএসএফের কাকদ্বীপ ব্লক সভাপতি মনিরুল ইসলাম মোল্লার কপাল ফেটেছে বলে জানা যাচ্ছে। মনিরুলকে কুলপি ব্লক হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, এদিন নওশাদ এলাকায় ঢুকতেই দু’পক্ষের মধ্যে তুমুল ধস্তাধস্তি শুরু হয়। বেশ কিছুক্ষণ ধরে চলে হাতাহাতি। ঘটনায় দুপক্ষই দুপক্ষের বিরুদ্ধে প্রথমে হামলা চালানোর অভিযোগ করেছে। ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় গোটা গ্রামে। খবর পেয়ে গ্রামে আসে পুলিশ। কাকদ্বীপের সিআই অসীম মজুমদার, হারুউড পয়েন্ট উপকূল থানার ওসি মানিক সমাজদার-সহ বিশাল পুলিশবাহিনী এলাকায় পৌঁছে যায়।
উত্তেজনার আবহেই গ্রাম ছাড়েন নওশাদ সিদ্দিকী। আক্রান্ত মনিরুল জানিয়েছেন, তৃণমূলের লোকজন মারধর করেছে। অন্যদিকে মৃত সানোয়ার মোল্লার ভাই আনোয়ার মোল্লার অভিযোগ, “নওশাদের সঙ্গে বহিরাগতরা এসেছিলেন। তারাই প্রথম মারধর করে।” আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী বলেন, “আমার সামনেই গন্ডগোল হল। আমাদের এক নেতাকে মারধর করল। আমি মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি করতে চাই না।”
অন্যদিকে আইএসএফের দিকে দোষ ঠেলে তৃণমূলের কাকদ্বীপ ব্লক সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি বসির চৌধুরী বলেন, “আমরা মৃতদেহ নিয়ে রাজনীতি করি না। দলীয় পতাকা নিয়ে বাড়িতে দেখা করতে এসেছিলেন আইএসএফের লোকজন। মৃতের পরিবার প্রতিবাদ করেছে। তখন তাদের মারধর করা হয়েছে।”