যাদবপুর: উনিশের লোকসভা ভোটে যাদবপুর থেকে তৃণমূল প্রার্থী করেছিল অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তীকে। ভোটে জিতে সাংসদও হন মিমি। কিন্তু এলাকার মানুষজনের মধ্যে পরিষেবা নিয়ে বেশ কিছু ক্ষোভ রয়ে গিয়েছে। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে বিজেপি প্রার্থী তাই মানুষের দুয়ারে যেতেই বেরিয়ে এল আমজনতার সেই ক্ষোভ। যাদবপুরের বিজেপি প্রার্থী অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্য়ায়কে সামনে পেয়েই এলাকার মহিলারা শোনালেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের থেকে তাঁদের অপ্রাপ্তির কথা।
মঙ্গলবার দুপুরে যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ভাঙড় ২ ব্লকে প্রচারে বেরিয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্য়ায়। সেই সময়েই জয়নগর এলাকার কিছু স্থানীয় মহিলা নিজেদের ক্ষোভ উগরে দেন বিজেপি প্রার্থীর সামনে। আবাসের ঘর থেকে শুরু করে শৌচালয়, বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাঁদের কাজ আটকে রয়েছে বলে ক্ষোভ এলাকার মহিলাদের। বিজেপি প্রার্থীও তাঁদের বোঝান, কেন্দ্রের থেকে টাকা পাঠানো হলেও রাজ্য সরকার কাজের বাস্তবায়ন ঠিকঠাকভাবে করছে না। কেন্দ্রের থেকে টাকা পাঠানোর পরও কেন কাজ হচ্ছে না, সেই বিষয়টি বিবেচনা করে দেখার জন্যও এলাকার মহিলাদের পরামর্শ দেন বিজেপি প্রার্থী অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়। এমনকী তাঁদের লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা থেকেও ১৯০ টাকা কেটে নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ স্থানীয় মহিলাদের। এলাকার মহিলারাও বলছেন, ‘আমরাও এবার চাই মোদীদাদা জিতুক।’
যাদবপুরের বিজেপি প্রার্থীও এলাকাবাসীদের সঙ্গে কথা বলার পর সংবাদমাধ্যমকে জানালেন, ‘অনেক ক্ষেত্রেই অনেক পরিষেবা-পরিকল্পনা ইচ্ছাকৃতভাবে আটকে দেওয়া হয়েছে শাসক দলের তরফে। এটা শুধু ভাঙড়ে নয়, গোটা যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রেই এই ছবি দেখছি।’ এরপরই অভিনেত্রী তথা বিদায়ি সাংসদ মিমি চক্রবর্তীর নাম না করে তিনি বলেন, ‘২০১৯ সালে যিনি জনপ্রতিনিধি হয়েছিলেন, তিনি মানুষের পাশে দাঁড়াননি, মানুষের হয়ে কাজ করেননি, এটা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে।’