দক্ষিণ ২৪ পরগনা: তরুণী বধূকে নৃশংসভাবে খুন। আবারও খবরের শিরোনামে জয়নগর। এলাকাবাসীর অভিযোগ, ওই তরুণীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। তা নিয়ে প্রায়ই বাড়িতে অশান্তি হতো। শুক্রবার ভোরে সেই অশান্তি চরমে ওঠে। এরপরই তাঁর স্বামী বটি দিয়ে তাঁকে গলায় কোপ বসায় বলে অভিযোগ। জয়নগরের হরিনারায়ণপুরের ঘটনা। নিহতের নাম অপর্ণা বৈদ্য (৩২)। এই ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত পরিমল বৈদ্য পলাতক।
কলকাতায় রাজমিস্ত্রির কাজ করেন পরিমল বৈদ্য। প্রতিদিনই সকাল ৬টায় কাজে বেরিয়ে যান তিনি। তার আগে ভোরে উঠে স্বামীর জন্য রান্না করেন অপর্ণা। শুক্রবারও তাই করছিলেন। অপর্ণার ছেলে জানায়, “বাবার সঙ্গে মায়ের কথা কাটাকাটি হয়েছিল। তারপর আমি পড়তে চলে যাই। পরে খবর পাই এই ঘটনা।”
অপর্ণা পরিমলের এক ছেলে, এক মেয়ে। প্রতিবেশীদের দাবি, অপর্ণার অন্য কারও সঙ্গে সম্পর্ক ছিল। যা নিয়ে সবসময়ই সংসারে অশান্তি হতো। গায়েও হাত তুলতেন পরিমল। মাঝে একবার বাড়ি থেকে বেরিয়েও যান অপর্ণা। তবে পরে বুঝিয়ে তাঁকে ফিরিয়ে আনা হয়। ছেলের দাবি, বাবা প্রায়ই মাকে কেটে দু’ টুকরো করে দেওয়ার হুমকি দিতেন।
স্থানীয় বাসিন্দা তোয়েব মল্লিক বলেন, “মহিলার একটা সম্পর্ক ছিল। স্বামী বারবার মানা করে। আমরা ক্লাব থেকেও বলি স্বামীর ঘর কর, এগুলো করে কী হবে? তবে কোনও কথাই শোনেনি। আজ সকালে ৫টা নাগাদ রান্না করছিল মেয়েটা। সেই সময় বরের সঙ্গে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। আমরা গিয়ে দেখি বটি দিয়ে আঘাত করেছে। গলা কেটে দিয়েছে। ওদের প্রায় সময়ই সংসারে অশান্তি হতো। তবে এমন ঘটনা ঘটে যাবে ভাবিনি।” জয়নগর থানার পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।