ভাঙড়: কয়েক বছর পর অবশেষে শওকত মোল্লাকে সামনে রেখে পাওয়ার গ্রিড এলাকায় সভা করল তৃণমূল কংগ্রেস। সেই সভায় শুধু জমি কমিটি নয় একইসঙ্গে আইএসএফ থেকেও বেশ কিছু কর্মী সমর্থক যোগদান করেন দলের। যার ফলে পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Election) প্রাক্কালে ভাঙড়ে তৃণমূলের পায়ের নিচে জমি শক্ত হল বলে মত রাজনীতির কারবারিদের। শনিবার বিকেলে পাওয়ার গ্রিড এলাকার শ্যামনগর মোড়ে কর্মী সভার আয়োজন করে তৃণমূল (Trinamool Congress)। এদিন ওই কর্মীসভায় শওকত মোল্লা (Saokat Mollah) ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ভাঙড়ের আহ্বায়ক আরাবুল ইসলাম (Arabul Islam), হাকিমুল ইসলাম, খয়রুল ইসলাম, ওদুত মোল্লা সহ ভাঙড়ের (Bhangar) প্রথমসারির তৃণমূল নেতৃত্ব।
জমি, জীবিকা, বাস্তুতন্ত্র ও পরিবেশ রক্ষা কমিটির দাপটে দীর্ঘদিন ধরে শাসক দল পাওয়ার গ্রিড এলাকায় তাঁদের দলীয় কর্মসূচি পালন করতে পারেনি। শুধু তাই নয় পোলেরহাট ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করার পরেও জমি কমিটির বাধায় পঞ্চায়েত অফিসে ঢুকতে পারেন না প্রধান, উপপ্রধান-সহ অন্যান্য সদস্যরা। এদিন নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার লড়াইয়ে ভাঙড়ের সমস্ত তৃণমূল নেতৃত্ব এক মঞ্চে সামিল হয়ে এই কর্মসূচি পালন করলেন।
শওকত মোল্লা বলেন, “আইএসএফ বা জমি কমিটির সঙ্গে থাকলে কোনও উন্নয়ন হবে না, এলাকায় কোনও শান্তি ফিরবে না। সে কারণেই সাধারণ মানুষ আমাদের দিকে ফিরছে।” পাশাপাশি তিনি আরও জানান, “আগামীতে গোটা ভাঙড় জুড়ে এই যোগদান কর্মসূচি চলবে। নতুন করে তৃণমূলে ফিরবেন বহু মানুষ।” তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম বলেন, “ওরা এলাকায় পাওয়ার গ্রিড, হসপিটাল, কোল্ড স্টোর সহ একাধিক জায়গা থেকে কোটি কোটি টাকা তছরুপ করেছে। এলাকায় সাধারণ মানুষ এসব বুঝেছে। তাঁরা সকলেই আমাদের দলে চলে আসবে।”
অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে জমি কমিটির যুগ্ম সম্পাদক মির্জা হাসান বলেন, দুর্নীতির অভিযোগে মিন্টু বিশ্বাস, আবু তালেব বিশ্বাসদের আমরা এক বছর আগে দল থেকে বের করে দিয়েছিলাম। এর আগেও ওরা তৃণমূলে যোগদান করেছিল বলে দেখানো হয়েছিল। মানুষকে ভুল বোঝাতে আবারও তাদেরকে তৃণমূলে যোগদান করান হচ্ছে বলে দেখানো হয়েছে। আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সদ্দিকী বলেন, “উপরতলার নেতৃত্বের কাছ থেকে বাহবা পাওয়ার জন্য এসব নাটক ছাড়া আর কিছু নয়।” কয়েকজন যারা এসেছে তাঁদের ভয় দেখিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে বলেও দাবি করেন নওশাদ।