কুলপি: বাংলাদেশ (Bangladesh) থেকে মাছের খোঁজে বঙ্গোপসাগরে (Bay of Bengal) পাড়ি দিয়েছিল ৯ বাংলাদেশি মৎস্যজীবী (Bangladeshi Fishermen)। শুরুতে সব ঠিকঠাকই ছিল। মাছও ধরছিলেন নিজেদের ছন্দে। কিন্তু, তাল কাটে সামুদ্রিক ঝোড়ো হাওয়ার দাপটে। সেই বিপর্যয়কে সামাল দিতে পথ ভুল করে অবশেষে তারা ঢুকে পড়েন ভারতীয় জল সীমানায়। যখন হুঁশ ফেরে তখন বুঝতে পারেন তাঁরা রয়েছেন হুগলি নদীতে। কিন্তু তাতেও মেলে না নিস্তার। ট্রলারটি ডুবে যায় নদীতে। খোঁজ মিলছিল না ৯ বাংলাদেশি মৎস্যজীবীর। অবশেষে ঘর ফিরে পেলেন তাঁরা।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের ২৫ তারিখে দক্ষিণ ২৪ পরগণার কুলপি থানা এলাকায় হুগলি নদীতে প্রচন্ড বৃষ্টি ও দমকা হাওয়ার জেরে ডুবে গিয়েছিল বাংলাদেশি ট্রলার এমডি রাফসান হাবিব ৩। সেই ট্রলারে থাকা নয় জন বাংলাদেশিকেই উদ্ধার করে কুলপি থানার পুলিশ। তারপর থেকে তাঁদের হেফাজতেই ছিল ওই নয় বাংলাদেশি। তাঁরা বাংলাদেশের চট্টগ্রাম, নোরালী, ফরিদপুর ও চিত্তগঞ্জ জেলার বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছিল। কিন্তু, ভারতীয় সীমানা পার করে এ দেশে চলে আসায় বেড়েছিল উদ্বেগ। কোন পথে তাঁরা দেশে ফিরবেন তা নিয়ে বাড়তে থাকে চিন্তা। যোগাযোগ করা হয়ে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে।
প্রথমে সুন্দরবন পুলিশ জেলার আধিকারিকরা যোগাযোগ করেন রাইটার্স বিল্ডিংয়ের হোম অ্যান্ড হিল আফেয়ার্স ডিপার্টমেন্টের ফরেনার্স ব্রাঞ্চের সার্ক ভিসা সেকশনের সঙ্গে। তারাই বাংলাদেশ হাই কমিশনারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন বলে জানা যায়। তারপরই দুই দেশের আধিকারিকদের মধ্যে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হয়। তারপরেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ওই নয় বাংলাদেশের মৎস্যজীবীকে পুনরায় তাঁদের দেশে ফেরানো হবে। সেই সিদ্ধান্ত মতো ওই ৯ মৎস্যজীবীকে নিয়ে আসা হয় বসিরহাটের হেমনগর থানায়। তারপর হেমনগর থানার পুলিশ আধিকারিক মৃনাল রায় ও বিএসএফের ১১৮ নম্বর ব্যাটেলিয়ানের সহযোগিতায় নয় বাংলাদেশিকে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী টি-জংশনে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ ও বাংলাদেশী পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। দীর্ঘ দু’মাস পরে নিজের দেশ ফিরে পেয়ে স্বভাবতই আপ্লুত বাংলাদেশী ওই মৎস্যজীবীরা।