বাড়িতে যৌন উদ্দীপক ট্যাবলেট, কন্ডোমের ডাঁই! ভাগ্নীকে যৌন হেনস্থায় ১০ বছরের জেল মামার

TV9 Bangla Digital | Edited By: সৈকত দাস

Sep 14, 2021 | 11:29 PM

Crime News: ভাগ্নীকে অপহরণ করে লুকিয়ে রেখেছিল ভাড়া বাড়িতেয দিনের পর দিন তার চলত যৌন নির্যাতন। নাবালিকাকে অপহরণ ও যৌন নির্যাতন মামলায় মামাকে দোষী সাব্যস্ত করল আদালত। দেওয়া হল ১০ বছরের কারাদণ্ড। 

বাড়িতে যৌন উদ্দীপক ট্যাবলেট, কন্ডোমের ডাঁই! ভাগ্নীকে যৌন হেনস্থায় ১০ বছরের জেল মামার
ছবি- প্রতীকী চিত্র

Follow Us

সোনারপুর: ভাগ্নীকে অপহরণ করে লুকিয়ে রেখেছিল ভাড়া বাড়িতে দিনের পর দিন তার চলত যৌন নির্যাতন। নাবালিকাকে অপহরণ ও যৌন নির্যাতন মামলায় মামাকে দোষী সাব্যস্ত করল আদালত। দেওয়া হল ১০ বছরের কারাদণ্ড।

ভাগ্নীকে অপহরণ করে যৌন নির্যাতন চালানোর দায়ে মামাকে ১০ বছরের জেল কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয় বারুইপুর আদালত। সোনারপুর এলাকা থেকে নাবালিকাকে প্রথমে অপহরণ করা হয়। তার খোঁজে থানায় ডায়েরি করে পরিবার। এর পর দীর্ঘদিন খোঁজখবর চালিয়ে বারাসতের একটি বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় নাবালিকাকে। উঠে আসে মামার কুকীর্তি।

জানা যায়, বারাসতের একটি ভাড়া বাড়িতে রেখে দিনের পর দিন যৌন নির্যাতন করা হত একাদশ শ্রেণির ওই পড়ুয়াকে। আর যে এই জঘন্য কাজ করেছে সে সম্পর্কে তার মামা। এদিন অভিযুক্ত সেই মামার সাজা ঘোষণা করল বারুইপুর আদালত। অভিযুক্ত গৌতম ব্যানার্জিকে ১০ বছরের কারাদণ্ড এবং ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করে আদালত। অনাদায়ে আরও ১ বছরের সাজা ঘোষণা করা হয়। এছাড়া নির্যাতিতাকে ১ লক্ষ টাকা ক্ষতিপুরণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ঘটনাটা ২০১৯ সালের। সে বছরের ২৮ আগস্ট সন্ধেবেলায় বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল একাদশ শ্রেণির ছাত্রী। বাড়িতে বলে যায় কয়েকটা নোট ফটোকপি করতে হবে। তাই একটা জেরক্সের দোকানে যাচ্ছে সে। কিন্তু আর বাড়ি ফেরেনি সে। পরিবারের তরফে দায়ের হয় অপহরণের মামলা।

কয়েকদিন পর অবশ্য খোঁজ মেলে সেই ছাত্রীর। সম্পর্কে মামা অভিযুক্ত ৬১ বছরের গৌতম ব্যানার্জি তাকে কিডন্যাপ করেছিল বলে জানা যায়। এই ঘটনায় সোনারপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয় নাবালিকার ছাত্রীর পরিবারের তরফে।

ঘটনায় তদন্তে নেমে সোনারপুর থানার পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে হাড়োয়া এলাকা থেকে। বারাসতে তার ভাড়া বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয় প্রচুর যৌন উদ্দীপক ট্যাবলেট ও ব্যবহৃত এবং অব্যবহৃত কন্ডোম। ঘটনার তদন্ত শুরু করে সোনারপুর থানার সাব ইন্সপেক্টর অর্ঘ্য মণ্ডল। সাক্ষ্য ও প্রমাণের ভিত্তিতে অবশেষে অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। এদিন তার সাজা ঘোষণা করা হয়।

উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে সোনারপুর এলাকায় মেয়েকে যৌন নির্যাতনের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয় এক বাবা। তাকে ২০ বছরের কারাদণ্ড দেয় আদালত। সোনারপুর এলাকার বাসিন্দা সাজাপ্রাপ্ত ধনঞ্জয় হালদারের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, দিনের পর দিন তার যৌন লালসার শিকার হত নাবালিকা মেয়েই। প্রায় প্রতিদিনই পরিবারের সদস্যদের অলক্ষে মেয়ের উপর যৌন নির্যাতন করে গিয়েছে সে বলে অভিযোগ। একদিন সমস্ত ঘটনার কথা মাকে খুলে বলে মেয়ে। স্বামীর বিরুদ্ধে থানায় যান ওই মহিলা। ঘটনায় বারুইপুর মহিলা থানায় অভিযোগ দায়ের হয় ২০২০ সালের ১১ জুলাই। কয়েক সপ্তাহ আগে সেই বাবাকে ২০ বছরের কারাদণ্ড দেয় আদালত।

আরও পড়ুন:  বাবাকে দেখলেই ভয়ে কুঁকড়ে যেত ছোট্ট মেয়েটি…. ধনঞ্জয়কেে ২০ বছরের কারাদণ্ড দিল আদালত

Next Article