ভাঙড়: শিবপুর, রিষড়ার অশান্তির পর এবার সতর্ক পুলিশ প্রশাসন। শুধু রাজ্য পুলিশই নয়, নজরদারি চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় বাহিনীও। কোথাও যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, তা নিশ্চিত করতে জায়গায় জায়গায় চলছে রুটমার্চ। কিন্তু শিবপুর ও রিষড়ার অশান্তি নিয়ে বার বার প্রশ্ন উঠছিল। কেন এমন ঘটনা ঘটল? পুলিশের ব্যর্থতা? নাকি পূর্ব পরিকল্পিত? এমন প্রশ্ন ইতিমধ্যেই উঠতে শুরু করেছে। এবার সেই নিয়ে সরকারের অস্বস্তি বাড়ালেন ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী (Nawsad Siddiqui)। রাজ্যে সাম্প্রতিক দুর্নীতির অভিযোগ থেকে মানুষের নজর ঘোরাতেই এই অশান্তির পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুললেন নওশাদ। সম্প্রতি ভাঙড়ে আইএসএফ-এর এক কর্মিসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিধায়ক বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান পরিস্থিতি খুব একটা ভাল জায়গায় নেই। একদিকে চাকরি চুরি, বালি চুরি, কয়লা চুরি… দুর্নীতিতে ছেয়ে গিয়েছে। আমার সন্দেহ, এর থেকে মুখ ঘোরানোর জন্য অশান্তি পাকানোর চেষ্টা হচ্ছে।’
বাংলায় হিন্দু-মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে যে ঐক্য রয়েছে, সেই বার্তাও মঞ্চ থেকে তুলে ধরেন আইএসএফ বিধায়ক। এই ঐক্য যাতে কোনওভাবে নষ্ট না হয়, সেই কথাও বললেন নওশাদ। দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে বার্তা দিলেন, বাংলার ঐক্যের পরিবেশ নষ্ট করার চেষ্টা করা হলে, গণতান্ত্রিক উপায়ে বুথে বুথে তার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। প্রসঙ্গত, শিবপুরের ঘটনার পর থেকেই রাজনৈতিক কাদা ছোড়াছুড়ির পালা শুরু হয়ে গিয়েছিল তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে। পরবর্তীতে রিষড়ার ঘটনাতেও একই ধরনের পরিস্থিতি দেখা গিয়েছিল। এমন এক পরিস্থিতিতে ভাঙড়ের সভামঞ্চ থেকে ঐক্যের বার্তা দিলেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী। বুঝিয়ে দিতে চাইলেন, ভোট ময়দানে এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে নওশাদের দল।
প্রসঙ্গত, শিবপুরের ঘটনার পর টিভি নাইন বাংলাকে রাজ্যপাল জানিয়েছিলেন, এখন কার দোষ সেটি দেখার সময় নয়, এখন অ্যাকশন নেওয়ার সময়। রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন, অশান্তির বাতাবরণ কোনওভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। রিষড়ার ঘটনার পর নিজে সেখানে চলে গিয়েছিলেন। সরেজমিনে ঘুরে দেখেছেন পরিস্থিতি।