দক্ষিণ ২৪ পরগনা: প্রত্যেক সন্ধ্যায় ঠেক বসত। আর সেখানে ভিড় জমাতেন পাড়ার প্রায় সব বাড়ির ছেলেরাই। রাত পর্যন্ত সেখানে চলত মদ্যপান। তারপর মদ্যপ অবস্থায় বাড়িতে ঢুকে নিত্য অশান্তি, গার্হস্থ্য হিংসা। ফলে পাড়ার মহিলারা একত্রিত হয়ে ওই ঠেকই বন্ধের অভিযান চালান। মদ বিক্রি বন্ধ করতে গিয়ে দোকানদার ও তাঁর স্ত্রীর হাতে আক্রান্ত হলেন প্রতিবাদী মহিলারা। অভিযোগ ঘিরে শোরগোল দক্ষিণ ২৪ পরগনার নামখানার লালপুল বাসস্ট্যান্ড এলাকার ঘটনা। প্রতিবাদী মহিলাদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। দুপক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নামখানার লালপুল বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এক ব্যক্তির বাড়িতে মদ বিক্রি হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ওই বাড়িতে সন্ধ্যা থেকেই আসর বসে যায়। আশপাশের এলাকা থেকে ভিড় জমাতে থাকেন অনেকে। এমনকি অপরিচিত বহিরাগতরাও আসতে থাকে। সন্ধ্যার পর থেকে ওই এলাকা দিয়ে চলাফেরা করাই রীতিমতো দায় হয়ে ওঠে। অশালীন কথাবার্তা, গালিগালাজ করতে থাকেন মত্তরা। সন্ধ্যার পর থেকে এলাকার মহিলারা ওই এলাকা দিয়ে চলে ফেরাফেরা করতে পারেন না।
শুধু তাই নয়, মদ্যপ অবস্থায় বাড়ির পুরুষরা ফিরে অশান্তি করতেন বলে অভিযোগ। ফলে সমস্যার হাল বার করতে ওই এলাকায় মদ বিক্রিই বন্ধ করতে চেয়েছিলেন মহিলারা। সোমবার সন্ধ্যায় পাড়ার মহিলারা যৌথভাবে ওই বাড়িতে গিয়ে চড়াও হন। মদ বিক্রি বন্ধ করতে বলেন তাঁরা।
মদ ব্যবসায়ী ও তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে বাকি মহিলাদের অশান্তি শুরু হয়ে যায়। এমনকি প্রতিবাদী মহিলাদের মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ। মদ ব্যবসায়ীর গ্রেফতারের দাবিতে স্থানীয় মহিলা সমিতির নেতৃত্বে মদ দোকানের সামনে সোমবার রাত পর্যন্ত বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন এলাকার মহিলারা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় নামখানা থানার পুলিশ।
সুকুমার ঘোড়ইকে গ্রেফতারের পাশাপাশি তার দোকান থেকে বেশ কয়েক পেটি মদ আটক বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। বিক্ষোভকারী মহিলাদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে নামখানার লালপুল বাসস্ট্যান্ডের কাছে অবৈধভাবে মদ ব্যবসা করছিলেন সুকুমার ঘড়ুই। আর সেখান থেকেই মদ খেয়ে বাড়িতে গিয়ে প্রায়শই মহিলাদের মারধর করতেন পুরুষেরা। এই খবর পাওয়ার পর সোমবার বিকেলে স্থানীয় কয়েকজন মহিলা ওই দোকানের সামনে এসে মদ বিক্রি বন্ধ করতে বলেন। তা নিয়েই ঝামেলা।