ক্যানিং: সরকারি আবাস যোজনার ঘরের জন্য কাটমানি দিতে হয়েছে। তারপরও মেলেনি ঘর। আর ঘর না পাওয়ায় কাটমানির টাকা ফেরত চাইতে গেলে বৃদ্ধকে লাঠি দিয়ে এলোপাথাড়ি মারা হয়েছে বলে অভিযোগ। আহত বৃদ্ধের নাম হায়দার আলি গাজি ( ৭০)। ক্যানিং থানার অন্তর্গত তালদি গ্রাম পঞ্চায়েতের পূর্ব শিবনগর গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। ক্যানিং থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, সরকারি আবাস যোজনায় ঘর পাওয়ার জন্য কাটমানি চাওয়া হয়েছিল ওই বৃদ্ধের কাছে। সেই মতো টাকাও দেওয়া হয়েছিল। বেশ কয়েক মাস কেটে গেলেও ঘর হয়নি। সেই টাকা ফেরত চাইতে যেতেই জুটল মার। অভিযোগ, প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী সাইফুল হোসেন শাহের বিরুদ্ধে। ওই বৃদ্ধ দম্পতি ক্যানিং থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে ক্যানিং থানার পুলিশ। তবে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, তারা এই ঘটনার বিষয়ে অবগত নয়।
কাটমানি দেওয়ার অভিযোগ নতুন নয়। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বিভিন্ন প্রকল্পের ক্ষেত্রে টাকা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এ ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম নয়। অভিযোগ, আবাস যোজনায় ঘর তৈরি করে দেওয়ার জন্য ১৪ হাজার টাকা কাটমানির দাবি করেছিলেন পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী। আর ঘরের জন্য পঞ্চায়েত সদস্যার দাবি অনুযায়ী ১৪ হাজার টাকা দিয়ে দেন ওই বৃদ্ধ দম্পতি। কিন্তু বেশ কয়েক মাস পেরিয়ে গেলেও মেলেনি কোনও ঘর।
ঘর না পাওয়ায় কাটমানি টাকা ফেরত চান ওই দম্পতি। অনেক অনুরোধের পর তাঁদেরকে আট হাজার টাকা ফেরত দেন পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী। আর বাকি ৬ হাজার টাকা ফেরত চাইতে গেলেই জোটে মার। লাঠি দিয়ে বৃদ্ধকে এলোপাথাড়ি মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। ভেঙে দেওয়া হয় চোখের চশমাও। এই ঘটনায় আতঙ্কিত ওই বৃদ্ধ দম্পতি।
পরপর দু দিন এ ভাবে মারধরের ঘটনা ঘটায় স্থানীয় প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী সাইফুল হোসেন শাহের বিরুদ্ধেই ক্যানিং থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই বৃদ্ধ দম্পতি। যদিও এই বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে দাবি তৃণমূলের উপ প্রধান কালী চরণ মালের। তিনি বলেন, ‘আমি যদি জানতাম, তাহলে নিশ্চয় ব্যবস্থা নিতাম।’ লিখিত অভিযোগ পেলে তিনি ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন। ঘটনার তদন্তে নেমেছে ক্যানিং থানার পুলিশ।
আরও পড়ুন : Councillor Murder: ঝালদার কাউন্সিলর খুনে খুনির স্কেচ প্রকাশ, ধরে দিতে পারলেই মোটা টাকার পুরস্কার