Bhangar Murder: রাজমিস্ত্রি বন্ধুর সঙ্গে সম্পর্ক, প্রেমিকাকে ‘ধরে রাখতে’ শেষে করলেন দুঃসাহসিক কাজ

TV9 Bangla Digital | Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Nov 02, 2022 | 5:05 PM

Bhangar: জানা গিয়েছে, মৃত সাদ্দাম মোল্লা(২৯) ও অভিযুক্ত মীর শফিক ওরফে হাসা আলি অভিন্নহৃদয় বন্ধু ছিল।

Bhangar Murder: রাজমিস্ত্রি বন্ধুর সঙ্গে সম্পর্ক, প্রেমিকাকে ধরে রাখতে শেষে করলেন দুঃসাহসিক কাজ
ভাঙড়ে খুন প্রেমিক (নিজস্ব চিত্র)

Follow Us

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: খাল থেকে উদ্ধার হয়েছিল মৃতদেহ। কিন্তু রহস্যের জট খুলতে লাগল এক মাসেরও বেশি সময়। খুনের তত্ত্ব খাড়া হল ‘ত্রিকোণ’ প্রেমের মোটিভ সমেত। প্রেমিকার সঙ্গে সম্পর্ক জেনে বন্ধুকেই খুন করে অভিযুক্ত। আপাতত তার ঠাঁই শ্রীঘরে। মোবাইলের সূত্র ধরে তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

জানা গিয়েছে, মৃত সাদ্দাম মোল্লা(২৯) ও অভিযুক্ত মীর শফিক ওরফে হাসা আলি অভিন্নহৃদয় বন্ধু ছিল। সেই সূত্রেই কাঁকুড়গাছি এলাকার বাসিন্দা হাসার প্রেমিকার সঙ্গে আলাপ সাদ্দামের। এরপর তাদের দুজনের মধ্যে তৈরি হয় সম্পর্ক। যা নিয়ে কার্যত অন্ধকারে ছিল হাসা আলি। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। কোনও ভাবে বন্ধুর সঙ্গে প্রেমিকার সম্পর্ক জেনে ফেলে সে। তাই শেষমেশ প্রতিশোধ নিতেই বন্ধুকে গুলি করে খুন করে হাসা। তদন্তে এই তথ্য উঠে আসার পরেই অভিযুক্তর মোবাইল ট্র্যাক করার কাজ শুরু করেন ভাঙড় থানার আধিকারিকরা। এরপর সেই সূত্র ধরেই মঙ্গলবার রাতে গ্রেফতার করা হয় মূল অভিযুক্তকে। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে সাদ্দামকে খুনের কথা স্বীকার করে হাসা। বুধবার সকালে তাকে বারুইপুর মহকুমা আদালতের তোলা হচ্ছে। আপাতত খুনে ব্যবহৃত বন্দুক উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা।

ঘটনার সূত্রপাত মাসখানেক আগে। ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে নিখোঁজ ছিলেন পেশায় রাজমিস্ত্রির জোগাড়ে সাদ্দাম। কয়েকদিনের মধ্যেই তিনি ফিরে আসবেন এই আশা করে থানাতেও বিষয়টি জানাননি পরিবারের সদস্যরা। এদিকে, ২৭ সেপ্টেম্বর ভাঙড় থানা এলাকার পাগলাহাটের কাছে ঘটকপুকুর কাটাখাল থেকে যুবকের পচাগলা দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশের কাছে সেই খবর দেন নারায়ণপুর পঞ্চায়েতের এক সদস্য। ভাঙড় থানায় তিনি ওই যুবককে খুন করে ফেলে যাওয়া হয়েছে আশঙ্কা করে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এরপর পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। শুরু হয় তদন্ত। সংবাদমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়ায় বিষয়টি ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের এলাকায়। সেই সূত্রে মৃতের পরিজন জামাকাপড় দেখে সনাক্ত করেন সাদ্দামকে। তদন্তকারীদের তাঁরা জানান, জোগাড়ের কাজ সেরে বাড়ি ফেরার পর হঠাৎ কয়েকজন বন্ধু বান্ধবের সঙ্গে বেরিয়েছিলেন সাদ্দাম। আর ফেরেননি। দীর্ঘ প্রায় এক মাসেরও বেশি সময় এই তদন্ত চলার পর অবশেষে জট খুলতে পারলেন তদন্তকারীরা। কার্যত নিশ্চিত হলেন, ত্রিকোণ প্রেমের তত্ত্বে।

এই বিষয়ে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘বস্তায় মুখ বাঁধা ছিল। আর মুখ পুরো সাদা হয়ে গিয়েছিল। একটা পচা গন্ধ বের হচ্ছিল। সেই গন্ধ পেয়েই আমরা বুঝলাম হয়ত কিছু ঘটেছে।’

আর এক বাসিন্দা বলেন, ‘আমরা ঢালাইয়ের কাজ করি। সকালবেলা এসে দেখলাম এখানে একটা মৃতদেহ পড়ে আছে। প্রথমে বুঝতে পারিনি। বস্তা থেকে যেহেতু গন্ধ বেরচ্ছিল। সেই কারণে বাউন্ডারি পেরিয়ে আমাদের একটি ছেলে দেখে মৃতদেহ পড়ে রয়েছে।’

Next Article