Woman harassment: নার্সিংহোমের ভিতরেই কি না…, পরে পুলিশের কাছে গেলেন মহিলা

TV9 Bangla Digital | Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Nov 02, 2022 | 11:47 AM

Sonarpur: দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড় থানা এলাকার ঘটনা। সেখানেই বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে এক মহিলার সঙ্গে কয়েক বছর ধরে সহবাসের অভিযোগ উঠল চিকিৎসকের বিরুদ্ধে।

Woman harassment: নার্সিংহোমের ভিতরেই কি না..., পরে পুলিশের কাছে গেলেন মহিলা
এই নার্সিংহোমের মালিক অভিযুক্ত (নিজস্ব চিত্র)

Follow Us

সোনারপুর: এলাকায় পরিচিত চিকিৎসক হিসাবে। তাঁরই প্রেমে পড়েছিলেন যুবতী। সেই প্রণয়ের সম্পর্ক গড়ায় সহবাসে। অন্তত তেমনটাই অভিযোগ করেছেন মহিলা। তবে, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পর অভিযোগকারিণীকে বিয়ে করতে অস্বীকার করেন ওই চিকিৎসক। শুধু তাই নয়, মহিলার থেকে লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। গোটা ঘটনায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে ভাঙড় থানায়।

দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড় এলাকার ঘটনা। সেখানকার এক বেসরকারি নার্সিংহোমে নার্সের কাজ করেন ওই মহিলা। জানা গিয়েছে, ওই নার্সিংহোমের মালিক অভিযুক্ত চিকিৎসক। মহিলার দাবি, কর্মসূত্রেই পরস্পরের সঙ্গে তাঁদের সম্পর্ক তৈরি হয়। ওই চিকিৎসক তাঁকে বিয়ে করবেন বলে জানিয়েছিলেন। কয়েক বছর ধরে তাঁরা ঘনিষ্ঠ সম্পর্কেও ছিলেন। মহিলার অভিযোগ, বিয়ের চাপ দিতেই বেঁকে বসেন চিকিৎসক। পাশাপাশি লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ তোলেন তিনি। মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ভাঙড় থানার পুলিশ।

পুলিশের কাছে অভিযোগপত্রে মহিলা জানান, ওই চিকিৎসক তাঁর সঙ্গে ভাঙড়ের একটি নার্সিংহোমে নিয়ে গিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস করত। পাশাপাশি ৬৫ লক্ষ টাকা ও হাতিয়ে নিয়েছেন বলে মহিলা অভিযোগ করেছেন। এরপর সম্প্রতি বিয়ের ব্যাপারে জোর করেন ওই মহিলা। তখনই মহিলাকে বিয়ে করতে অস্বীকার করেন এবং মেরে ফেলার হুমকি দেন। তাই বাধ্য হয়ে সুবিচারের দাবিতে এখন পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন ওই মহিলা। ওই মহিলা মঙ্গলবারই ভাঙড় থানায় গিয়ে অভিযুক্ত চিকিৎসক তথা নার্সিংহোম মালিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের সত‍্যতা যাচাই করতে পুরো বিষয়টি তদন্ত শুরু করেছে ভাঙড় থানার পুলিশ। ঘটনার পর অভিযুক্ত চিকিৎসক পলাতক।

এই বিষয়ে নির্যাতিতা মহিলা বলেন, ‘আমি পেশায় নার্স। আর ও নার্সিংহোমের মালিক। সেই সুবাদেই পরিচয়। ২০১৪ সাল থেকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আমার সঙ্গে সহবাস করছিল। এরপর বিয়ের জন্য জোর দিতেই আমাকে অস্বীকার করতে শুরু করেন। এমনকী আমার থেকে ৬৫ লক্ষ টাকা নিয়ে নিয়েছে। আমি ওর নামে থানায় অভিযোগ করেছি। কড়া শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’ অপরদিকে, স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘এই নার্সিংহোমের পিছনেই আমার বাড়ি। অভিযুক্ত এই গ্রামের বাসিন্দা। চিকিৎসার সঙ্গে যুক্ত বলেই জানি আমরা।’

Next Article