Sonarpur: ‘পুলিশ মদ-জুয়ার ঠেক থেকে টাকা নিয়ে চলে যায়’, বিধায়কের সামনেই বিস্ফোরক অভিযোগ তৃণমূল নেতার

TV9 Bangla Digital | Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Nov 02, 2022 | 11:31 AM

Sonarpur: মঙ্গলবার বিকালে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরে একটি পথসভা ছিল তৃণমূলের। সেই সভায় উপস্থিত ছিলেন শুভাশিস চক্রবর্তী, সোনারপুর উত্তর বিধানসভার বিধায়ক ফেরদৌসী বেগম ও সোনারপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তথা স্থানীয় তৃণমূল নেতা প্রবীর সরকার সহ অন্যান্যরা।

Follow Us

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: তৃণমূল বিধায়কের সামনেই বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন দলেরই নেতার। দলীয় একটি কর্মসূচি থেকে তিনি বলেন, পুলিশ আসে মদ-সাট্টা-জুয়ার ঠেক থেকে টাকা নিয়ে চলে যায়।

মঙ্গলবার বিকালে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরে একটি পথসভা ছিল তৃণমূলের। সেই সভায় উপস্থিত ছিলেন শুভাশিস চক্রবর্তী, সোনারপুর উত্তর বিধানসভার বিধায়ক ফেরদৌসী বেগম ও সোনারপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তথা স্থানীয় তৃণমূল নেতা প্রবীর সরকার সহ অন্যান্যরা। আর সেই সভাতেই বিধায়ক ফেরদৌসী বেগমের সামনে পুলিশের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ করলেন, খেয়াদহ দু নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য সঞ্জয় মণ্ডল। বললেন, ‘ কিছু-কিছু পুলিশ, সব পুলিশ খারাপ আমি বলব না। বারবার নরেন্দ্রপুর থানার আইসিকে জানিয়েও এলাকায় মদ, সাট্টা ও জুয়ার ঠেক বন্ধ হয়নি। পুলিশ আসে মদ, সাট্টা ও জুয়ার ঠেক থেকে টাকা নিয়ে চলে যায়। একটা ঠেকও বন্ধ হয়নি। রমরমিয়ে ঠেক চলছে। যার জেরে বহিরাগত দুষ্কৃতীরা এলাকায় আসছে। দুষ্কৃতীমূলক কাজ-কর্ম বেড়ে যাচ্ছে।’

এ দিকে, তৃণমূল নেতার এই ধরনের মন্তব্যে কিছুটা হলেও অস্বস্তিতে পড়েন স্থানীয় বিধায়ক ফেরদৌসী বেগম। তিনি সাংবাদিকদের জানান, ‘আমি গোটা বিষয়টি শুনলাম। এই বিষয়ে আমাদের দৃষ্টি দিতে হবে। অবশ্যই মার্চপিটিশন করে আমাদের এসপি ম্যাডামের সঙ্গে বসতে হবে। এর পাশাপাশি আমরা লিখিত আকারেও পুলিশের কাছে যাব। যাতে দুষ্কৃতীমূলক কাজকর্ম বন্ধ থাকে।’ যদিও এই বিষয়ে পুলিশের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। অপরদিকে, বিজেপি নেতা বলেন, ‘এলাকায় তৃণমূল নেতাদের পাশাপাশি পুলিশও এখন দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ছেন। মানুষের জন্য পুলিশের আরও বেশি সক্রিয় হওয়া প্রয়োজন।’

উল্লেখ্য, গত ২৮ শে অক্টোবর নরেন্দ্রপুর থানা এলাকার দাসপাড়া শান্তি পার্কে দুষ্কৃতীদের ছোড়া বোমার আঘাতে আহত হয়েছিল পাঁচ নাবালক। এলাকার ভেরি ও জগদ্ধাত্রী পূজোর দখল নেওয়াকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর লড়াইয়ের জেরে এই ঘটনা বলে পরবর্তীতে জানা যায়। সেই ঘটনার চারজনকে গ্রেফতার করে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছিল পাঁচটি তাজা বোমা। ধৃতদেরকে বারুইপুর মহাকুমা আদালতে তুলে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করে সোমবার রাতে উদ্ধার হয়েছিল দু’টি ওয়ান শাটার বন্দুক ও ছয় রাউন্ড তাজা কার্তুজ। ইতিমধ্যেই দাসপাড়া মোড়ে বিজেপি একটি পথসভা করেছিল এলাকায় বোমাবাজি ও দুষ্কৃতী কার্যকলাপ নিয়ে। আর মঙ্গলবার বিকেলে তারই পাল্টা সভা করল তৃণমূল।

 

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: তৃণমূল বিধায়কের সামনেই বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন দলেরই নেতার। দলীয় একটি কর্মসূচি থেকে তিনি বলেন, পুলিশ আসে মদ-সাট্টা-জুয়ার ঠেক থেকে টাকা নিয়ে চলে যায়।

মঙ্গলবার বিকালে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরে একটি পথসভা ছিল তৃণমূলের। সেই সভায় উপস্থিত ছিলেন শুভাশিস চক্রবর্তী, সোনারপুর উত্তর বিধানসভার বিধায়ক ফেরদৌসী বেগম ও সোনারপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তথা স্থানীয় তৃণমূল নেতা প্রবীর সরকার সহ অন্যান্যরা। আর সেই সভাতেই বিধায়ক ফেরদৌসী বেগমের সামনে পুলিশের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ করলেন, খেয়াদহ দু নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য সঞ্জয় মণ্ডল। বললেন, ‘ কিছু-কিছু পুলিশ, সব পুলিশ খারাপ আমি বলব না। বারবার নরেন্দ্রপুর থানার আইসিকে জানিয়েও এলাকায় মদ, সাট্টা ও জুয়ার ঠেক বন্ধ হয়নি। পুলিশ আসে মদ, সাট্টা ও জুয়ার ঠেক থেকে টাকা নিয়ে চলে যায়। একটা ঠেকও বন্ধ হয়নি। রমরমিয়ে ঠেক চলছে। যার জেরে বহিরাগত দুষ্কৃতীরা এলাকায় আসছে। দুষ্কৃতীমূলক কাজ-কর্ম বেড়ে যাচ্ছে।’

এ দিকে, তৃণমূল নেতার এই ধরনের মন্তব্যে কিছুটা হলেও অস্বস্তিতে পড়েন স্থানীয় বিধায়ক ফেরদৌসী বেগম। তিনি সাংবাদিকদের জানান, ‘আমি গোটা বিষয়টি শুনলাম। এই বিষয়ে আমাদের দৃষ্টি দিতে হবে। অবশ্যই মার্চপিটিশন করে আমাদের এসপি ম্যাডামের সঙ্গে বসতে হবে। এর পাশাপাশি আমরা লিখিত আকারেও পুলিশের কাছে যাব। যাতে দুষ্কৃতীমূলক কাজকর্ম বন্ধ থাকে।’ যদিও এই বিষয়ে পুলিশের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। অপরদিকে, বিজেপি নেতা বলেন, ‘এলাকায় তৃণমূল নেতাদের পাশাপাশি পুলিশও এখন দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ছেন। মানুষের জন্য পুলিশের আরও বেশি সক্রিয় হওয়া প্রয়োজন।’

উল্লেখ্য, গত ২৮ শে অক্টোবর নরেন্দ্রপুর থানা এলাকার দাসপাড়া শান্তি পার্কে দুষ্কৃতীদের ছোড়া বোমার আঘাতে আহত হয়েছিল পাঁচ নাবালক। এলাকার ভেরি ও জগদ্ধাত্রী পূজোর দখল নেওয়াকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর লড়াইয়ের জেরে এই ঘটনা বলে পরবর্তীতে জানা যায়। সেই ঘটনার চারজনকে গ্রেফতার করে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছিল পাঁচটি তাজা বোমা। ধৃতদেরকে বারুইপুর মহাকুমা আদালতে তুলে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করে সোমবার রাতে উদ্ধার হয়েছিল দু’টি ওয়ান শাটার বন্দুক ও ছয় রাউন্ড তাজা কার্তুজ। ইতিমধ্যেই দাসপাড়া মোড়ে বিজেপি একটি পথসভা করেছিল এলাকায় বোমাবাজি ও দুষ্কৃতী কার্যকলাপ নিয়ে। আর মঙ্গলবার বিকেলে তারই পাল্টা সভা করল তৃণমূল।

 

Next Article