বাসন্তী (দক্ষিণ ২৪ পরগনা): ফের তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে উত্তপ্ত দক্ষিণ ২৪ পরগনা। ক্যানিংয়ের পর এবার অশান্তি ছড়াল বাসন্তীতে। শনিবার সকাল-সকাল এলাকায় গোলাগুলি ও বোমাবাজির খবর প্রকাশ্যে এল।
ঘটনাস্থল দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তী থানার অন্তর্গত ভরতগড় গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা। সেখানেই এ দিন চলছিল শাসকদলের গোষ্ঠী কোন্দল। যার জেরে চরম উত্তেজনা ছড়াল ওই এলাকায়। এ দিকে, গোলাগুলি, বোমাবাজির জেরে খুন হন এক তৃণমূল কর্মী। মৃতের নাম জানেআলম গাজি (২৪)। গোটা ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছন অপর দুই তৃণমূল কর্মী। তাঁদেরকে বাসন্তী ব্লক গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে মোতায়েন রয়েছে প্রচুর পুলিশ বাহিনী।
এলাকার বিধায়ক বলেন, ‘আজ শনিবার বেলা সাড়ে ন’টার সময় জানেয়ালম গাজি নামে এক যুবক বাজার করে বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় আচমকা ভরা রাস্তার উপর কয়েকজন দুষ্কৃতী তার উপর হামলা চালায়। বোমা মেরে খুন করা হয় ওই ব্যক্তিকে। আমি পুলিশকে অনুরোধ করেছি যাতে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করে। দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’
উল্লেখ্য, গত রবিবার ক্যানিংয়ে গুলিবিদ্ধ হন এক তৃণমূল কর্মী। রাত্রিবেলা বাইক চালিয়ে বাড়ি ফেরার পথে আচমকা তাঁকে লক্ষ্য করে দুষ্কৃতীরা গুলি চালায় বলে অভিযোগ। পরে তাঁর অবস্থার এতটাই অবনতি হয় যে তাঁকে চিত্তরঞ্জন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
মূলত, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল নতুন কোনও ঘটনা নয়। কয়েকদিন আগে ক্যানিংয়ের গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় শাসকদলের গোষ্ঠী সংঘর্ষের জেরে তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য সহ মোট তিনজন ব্যক্তি খুন হন। রাস্তার ধারে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায় তাঁদের। প্রত্যেকের শরীরে ছিল এলোপাথাড়ি কোপ। রাস্তার ধারে পড়েছিল ছড়িয়ে ছিটিয়ে গুলির খোল, বোমার দাগ। সেইবারও বাইক আটকে হামলা করা হয়েছিল বলে পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছিল। এরপর আবারও এক তৃণমূল কর্মী খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।