দক্ষিণ ২৪ পরগনা : পশ্চিমবঙ্গের কাছেই অবস্থান করছে অতি গভীর নিম্নচাপ। শনিবারও দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। তবে গত দুদিন ধরে উপকূলবর্তী অঞ্চলে শুরু হয়ে গিয়েছে ঝড় ও বৃষ্টির তাণ্ডব। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বিস্তীর্ণ অংশ ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শুক্রবার রাতভর ৭০ থেকে ৭৫ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়েছে। ভেঙে পড়েছে গাছ। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাড়ি। মধ্যরাত পর্যন্ত ঝড়ের তাণ্ডব চলেছে। অন্যদিকে, শুক্রবার যে ট্রলার ডুবে গিয়েছিল কেঁদো দ্বীপের কাছে, তাতে থাকা ৫ মৎস্যজীবীর খোঁজ মেলেনি শনিবার সকাল পর্যন্তও।
জায়গায় জায়গায় বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে যাওয়ায় বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে জেলার একাধিক অঞ্চল। শুক্রবার সন্ধ্যার পর থেকে ক্রমশ বাড়তে শুরু করে ঝড়ের গতিবেগ। তবে মরা কোটাল থাকায় নদী ও সমুদ্রের মাটির বাঁধগুলির খুব বেশি ক্ষতি হয়নি। ঝড় সাগর, নামখানা, কাকদ্বীপ এলাকায় পানের বরোজগুলি ভেঙে পড়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, অনেক টাকার ক্ষতি হয়ে গিয়েছে।
ভোর রাত থেকে ঝড়ের গতিবেগ কমতে শুরু করেছে। তবে সুন্দরবন উপকূলে দমকা বাতাস বইছে শনিবার সকাল থেকেই। বৃষ্টির কোনও খামতি নেই। আকাশ কালো মেঘে ঢাকা, আর চলছে অবিরাম বৃষ্টি। এ দিন সকালে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হওয়ায় কাকদ্বীপের লট নম্বর আট থেকে কচুবেড়িয়ার মধ্যে ভেসেল পরিষেবা চালু হয়েছে। শুক্রবার দুপুর থেকে ভেসেল পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়ায় অনেক যাত্রীই আটকে পড়েছিলেন। রাতভর আটকে ছিলেন তাঁরা।
অন্যদিকে কেঁদো দ্বীপের কাছে শুক্রবার যে ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটেছে, তাতে থাকা ৫ জন মৎস্যজীবীর খোঁজ মেলেনি এখনও। তাঁদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। দুশ্চিন্তায় রয়েছে নিখোঁজ মৎস্যজীবীদের পরিবার। আবহাওয়ার উন্নতি হলে নতুন করে তল্লাশি অভিযান শুরু হবে বলে জানা গিয়েছে। এফবি সত্যনারায়ণ নামে ওই ট্রলারে থাকা মোট ১৩ জন মৎস্যজীবীকে উদ্ধার করে কাকদ্বীপ মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় রাতেই। তিনজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।