Basanti BJP Attack: ঝড়খালিতে বিজেপি নেতাকে রাস্তায় ফেলে ‘মারধরে’র ঘটনায় গ্রেফতার ২
Basanti BJP Attack: পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তী এলাকায় বুধবার রাতে উত্তেজনা ছড়ায়। বাসন্তীর বিজেপি চার নম্বর মন্ডলের সহ-সভাপতি অমল মণ্ডলের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা: বিজেপি নেতাকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধরের অভিযোগে ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত রয়েছেন আরও ১০ জন। তাঁদেরও গ্রেফতারির দাবিতে সোচ্চার বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপি নেতাকে মারধরের ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতেই অভিযুক্ত ২ জনকে গ্রেফতার করে ঝড়খালি থানার পুলিশ। বাকিদের কেন গ্রেফতারি নয়, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন জয়নগর সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক তথা বাসন্তীর নেতা বিকাশ সর্দার।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তী এলাকায় বুধবার রাতে উত্তেজনা ছড়ায়। বাসন্তীর বিজেপি চার নম্বর মন্ডলের সহ-সভাপতি অমল মণ্ডলের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে। একুশের নির্বাচনের ফলঘোষণার পর থেকেই তিনি ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা ঘরছাড়া ছিলেন। কিছুদিন আগেই পুলিশি নিরাপত্তায় তাঁরা বাড়ি ফিরেছিলেন। বুধবার অমল তাঁর কাজ সেরে বাড়ি ফিরছিলেন। অভিযোগ, পথে কয়েকজন যুবক তাঁর পথ আটকান। বিজেপি কেন করেন, তা নিয়েই শুরু হয় বচসা। ঝড়খালি পার্বতীপুরের বাসিন্দা অমলের ওপর তাঁরা চড়াও হন বলে অভিযোগ। রাস্তায় ফেলেই তাঁকে বাঁশ, লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ ওঠে।
অভিযুক্তরা প্রত্যেকেই তৃণমূলের কর্মী বলে আক্রান্তের পরিবারের দাবি। চিৎকার চেঁচামেচিতে স্থানীয় বাসিন্দারা জড়ো হয়ে গেলে অভিযুক্তরা অমলকে রাস্তায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসেন স্থানীয় বাসিন্দা। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়। এরপর ঝড়খালি থানায় ১২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে পরিবার। পুলিশ রাতে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করে ২ জনকে।
বিজেপি নেতার অভিযোগ, “ওঁদের একটাই অপরাধ, ওঁরা বিজেপি করেন। ঝড়খালিতে দিলীপ মণ্ডল, বিধান গায়েন এরা সন্ত্রাসের আতুরঘর। বারবার অভিযোগ করা হয়েছে। ২০২১ সালের পর থেকেই বিজেপি কর্মীরা মার খাচ্ছেন। সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তাই তৃণমূল আবারও সন্ত্রাসের পথেই হাঁটছে। ”
তৃণমূল অবশ্য প্রথম থেকেই দাবি করে আসছে, এই ঘটনা তাঁদের কর্মীরা জড়িত নন। এটা রাজনৈতিক ইস্যু নয়, গ্রাম্য বিবাদ। তৃণমূল নেতার বক্তব্য, “একটা অশান্তি হয়েছে, শুনেছি, কিন্তু এটার সঙ্গে রাজনীতি জড়িয়ে নেই। পুলিশকে বলেছি তদন্ত করে দেখতে।”