ক্যানিং: ক্যানিংয়ে অব্যাহত ভোট পরবর্তী হিংসা। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অশান্তির অভিযোগ উঠে আসছে। অভিযোগ উঠছে তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে। মঙ্গলবার অশান্তির ঘটনা সামনে এসেছিল। আর বুধবারও সেখান থেকে এল গন্ডগোলের খবর। জানা যাচ্ছে, গতকাল রাত্রিবেলাও ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। তবে এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত তৃণমূলের কারোর প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
অভিযোগ, সঞ্জয় কুমার নায়েক যিনি রাজ্য এসি মোর্চার ও ফিসারি ডিপার্টমেন্ট ইনচার্জ। তাঁর বাড়িতে দিঘিরপাড় গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তর কড়াকাঠি এলাকায়। বুধবার রাত্রিবেলা স্থানীয় তৃণমূলের ১৫ জনের বেশি একটি দল হামলা চালায়। বাড়ির সমস্ত জানালা ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। সঞ্জয় নায়েক বলেন, “রাত্রি পৌনে ন’টার সময় স্থানীয় তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা আসে আমার বাড়িতে। ওদের কয়েকজনের মুখ বাঁধা ছিল। আমার বাড়ির সদর দরজার পিছন থেকে ঢোকে ওরা। এরপর পোষা কুকুরটি তেড়ে গেলে আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে ওকেও ভয় দেখায়। গ্রিল ভেঙে ভিতরে ঢুকতে চায়। তা না পেরে হুমকি দিতে থাকে। বেরিয়ে আয়। খুন করে ফেলব। মেরে ফেলব। সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে জানাই। শুভেন্দু অধিকারীকে জানিয়েছি। উনি দেখছেন বিষয়টি।”
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার এই এলাকারই অসীম কুমার দাস ও অনিতা সিনহার বাড়িতেও তৃণমূলের দলবলের বিরুদ্ধে চড়াও হওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। একই সঙ্গে বিজেপির জয়নগর সাংগঠনিক জেলার মহিলা মোর্চার সহ সভাপতি মামনি দাসের দাবি, অন্ধকারে বাড়িতে চড়াও হয়ে তাঁর মা ও স্বামীর ওপর হামলা চালায় তৃণমূল আশ্রীত দুষ্কৃতিরা। এই ঘটনায় গুরুতর জখম হয় দু’জন। ঘটনার খবর পেয়ে ক্যানিং থানার পুলিশ জখমদেরকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায়।বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আক্রান্ত বিজেপি কর্মী সমর্থকরা।