দক্ষিণ ২৪ পরগনা: বাঘের হানায় মৃত্যু হল এক মৎস্যজীবীর। কাঁকড়া ধরতে গিয়েছিলেন কুলতলির ওই মৎস্যজীবী। সেই সময়ই পিছন থেকে হামলা চালায় একটি বাঘ। নিহতের নাম প্রদীপ সর্দার (৩৬)। কুলতলি থানার কাটামারি গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন তিনি।
প্রদীপ বলেন, জঙ্গলে মাছ ও কাঁকড়া ধরে দুই সন্তানকে নিয়ে জীবন যাপন করতেন মৎস্যজীবী প্রদীপ সর্দার। মঙ্গলবার ৩ জনের দল নৌকা নিয়ে কুলতলির কাঁটামারি থেকে সুন্দরবনের নয়বাঁকি জঙ্গলে কাঁকড়া ধরার জন্য রওনা দেয়।
বৃহস্পতিবার সকালে নয়বাঁকি জঙ্গলে কাঁকড়া ধরছিলেন তাঁরা। সেই সময় অতর্কিতে একটি বাঘ এসে প্রদীপের ঘাড়ের উপর পড়ে। তাঁকে জঙ্গলে টেনে নিয়ে যায়। পিছু নেন সঙ্গী দুই মৎস্যজীবীও। এরপরই দেহটি ফেলে পালায় বাঘ। সঙ্গীরাই দেহটি উদ্ধার করে বৃহস্পতিবার রাতে কাটামারির গ্রামে নিয়ে আসে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কুলতলি থানার পুলিশ।
কিছুদিন আগে একই ঘটনা ঘটেছিল গোসাবা ব্লকের কুমিরমারি গ্রামের দক্ষিণপাড়া এলাকায়। নিজের নৌকা নিয়ে সুন্দরবনের কাঁকড়া ধরতে গিয়েছিলেন এক মৎস্যজীবী। খাঁড়িতে কাঁকড়া ধরার সময় ঘাড়ের উপর হামলে পড়ে একটি বাঘ। যদিও সঙ্গীরা লাঠি ও বৈঠা নিয়ে গিয়ে বাঘটিকে তাড়া করলে মৃতদেহ ফেলে পালায়। আবারও সেই ঘটনা।
প্রদীপের সঙ্গে ছিলেন আশু সর্দার। তিনি বলেন, “৩ জন গিয়েছিলাম কাটামারি থেকে কাঁকড়া ধরতে। জাল তুলতে গিয়ে একজনকে বাঘ টেনে নিয়ে চলে যায়। এরপর আমরা ছুটে যেতেই দেখি দেহটা ফেলে পালিয়েছে।”
দেউলবাড়ি দেবীপুর গ্রামপঞ্চায়েতের উপপ্রধান নিখিল বৈদ্য বলেন, “বৃহস্পতিবার ওরা কাঁকড়া ধরতে গিয়েছিল। তিনজন গিয়েছিল সেখানে। নদীতে কাঁকড়া ধরার সময় একটা বাঘ এসে অতর্কিতে হামলা করে। প্রদীপ সর্দারকে তুলে নিয়ে যায়। যদিও বাকি দু’জন চিৎকার করায় কোনওভাবে দেহটা উদ্ধার হয়েছে।” প্রদীপের দেহ গ্রামে ফিরতেই কান্নার রোল ওঠে এলাকায়।