ক্যানিং: ক্যানিংয়ের স্কুলে প্রধান শিক্ষক মদ্যপ অবস্থায় থাকেন, মিড ডে মিলেও ব্যাপক অনিয়ম, স্কুলেও করা হয়নি সরস্বতী পুজো-বিস্তর অভিযোগ। প্রতিবাদে স্কুলে বিক্ষোভ অভিভাবকদের। পরিস্থিতি সামাল দিতে স্কুলে পৌঁছয় পুলিশ। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলে সরব হন অভিভাবকরা।পরে ক্যানিং থানার বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে পরিস্থিতি সামাল দিয়ে নিয়ন্ত্রণে আনে। শনিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে ক্যানিংয়ের মালিরধার অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
ক্যানিং ১ নম্বর ব্লকের মালিরধার অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মোট ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ১১০ জন। শিক্ষক-শিক্ষিকা রয়েছেন ৬ জন। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদে দায়িত্ব সামলাচ্ছেন স্বপন বরকন্দাজ। অন্যান্য বছর সরস্বতী পুজো জাঁকজমক করে পালিত হলেও চলতি বছর সরস্বতী পুজো হয়নি এই বিদ্যালয়ে। শনিবার স্কুল খুলতেই অভিভাবকরা প্রধান শিক্ষকের কাছে জানতে চান কেন সরস্বতী পুজো হল না?
সেই সঙ্গে অভিযোগ, প্রধান শিক্ষক মদ্যপ অবস্থায় অভিভাবক ও ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন এবং জানিয়ে দেন সরকারি নিয়ম অনুযায়ী স্কুলে সরস্বতী পুজো নিষেধ থাকায় পুজো হয়নি। প্রধান শিক্ষকের এমন আচরণে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন অভিভাবকরা। তাঁরা স্কুলের মধ্যে প্রধান শিক্ষককে আটকে রেখে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন।
খবর পৌঁছয় ক্যানিং থানায়। পুলিশ গিয়ে হাজির হয় ঘটনাস্থলে। অভিভাবকদের শান্ত করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। অভিভাবকদের আরও অভিযোগ, প্রধান শিক্ষক রোজই স্কুলে মদ্যপ অবস্থায় আসেন। পড়াশোনা ঠিকঠাক হয় না। স্কুল হচ্ছে কি না বোঝার উপায় নেই। ছেলেমেয়েরা সব সময় স্কুলের বাইরে ছোটাছুটি করে। শিক্ষকরা মোবাইলে আসক্ত হয়ে থাকেন বলে অভিযোগ অভিভাবকদের।
অভিভাবকদের আরও বক্তব্য, স্কুল মদ, বিড়ি, সিগারেট- নেশা করার আঁতুড় ঘর হয়ে উঠেছে। প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ। তিনি বলেন, “অভিভাবকদের অভিযোগ আমরা জেনেছি। বিভাগীয় তদন্ত হবে। অভিযোগ প্রমাণীত হলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে।”