সন্দেশখালি: শুক্রবার জ্বলছে সন্দেশখালি। জেলিয়াখালির হালদারপাড়ায় সন্দেশখালির বাঘ শেখ শাহজাহানের ‘ডান হাত’ শিবু হাজরার পোলট্রি ফার্ম। শুক্রবার সকালে দীর্ঘদিনের চাপা ক্ষোভে তেতে থাকা গ্রামবাসীদের ক্ষোভের ফুলকি বিস্ফোরকের চেহারা নেয়। শিবু হাজরার পোলট্রি ফার্মে আগুন ধরিয়ে দেন তাঁরা। সন্দেশখালির পরিস্থিতি নখদর্পণে রাখতে গত কয়েকদিন ধরে সেখানে পড়ে রয়েছেন TV9 বাংলার প্রতিনিধি সৌরভ দত্ত ও চিত্র সাংবাদিক গৌরব পাল। গোটা পরিস্থিতি তুলে ধরেছেন পর্দার সামনে। শুক্রবার আগুন লাগার খবর পাওয়া মাত্রই টোটোয় চিত্র সাংবাদিককে নিয়ে ঘটনাস্থলের উদ্দেশে ছুটে যাচ্ছিলেন সৌরভ। কিন্তু গ্রামবাসীদের ওপর এতদিন কী ধরনের শোষণ চলেছে, তার কিছুটা আঁচ পাওয়া গেল এদিন। গ্রামবাসীরা একত্রিত হয়ে ক্ষোভের আগুনে ফুঁসছেন। তাই তাঁদের গায়ে আজ কেউ হাত দিলেন না। হাত পড়ল সাংবাদিকের গায়ে।
হালদারপাড়ার দিকে যখন টোটোয় এগোচ্ছিলেন সৌরভ, তখন তিন চার জন বাইকে চেপে টোটো ঘিরে ধরেন। কিছু বুঝে ওঠার আগেই বাইক থেকে নেমে তারা প্রশ্ন করতে থাকেন, খবর করছেন? কী ব্যাপারে? গ্রামের শান্ত পরিবেশ নষ্ট করছেন? ক্যামেরা বন্ধ করার নির্দেশ দিতে থাকেন শিবুর শাকরেদরা। তখনও অবশ্য ক্যামেরা অন্ রেখেছিলেন আমাদের চিত্র সাংবাদিক। সৌরভ তাঁদের বোঝানোর চেষ্টা করেছিলেন। সে সময়ে সৌরভ ‘লাইভে’ ছিলেন। একটা সময় পর্যন্ত গোটা ঘটনার লাইভ টেলিকাস্ট হয়েছে। কিন্তু তা হতে হতেই অন্ধকার হয়ে যায় স্ক্রিন! ততক্ষণে TV9 বাংলার ক্যামেরা কেড়ে ভেঙে জলে ফেলে দেওয়া হয়েছে। সৌরভের গায়ে হাত পড়েছে।
এরপর আধ ঘণ্টা-পঁয়তাল্লিশ মিনিট পর্যন্ত সৌরভ কিংবা গৌরবের সঙ্গে কোনওভাবে যোগাযোগ করতে পারেনি আমরা। কী পরিস্থিতিতে তাঁরা সেখানে ছিলেন, সেটা কোনওভাবে বোঝার উপায় ছিল না। কারণ ঘটনাস্থলে তখন একমাত্র TV9 বাংলায় পৌঁছেছিল, পুলিশও পৌঁছতে পারেনি।
কিছুক্ষণ পর সৌরভের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ সম্ভব হয়। তাঁর মুখে ঘটনার যে ভয়াবহতা উঠে, তা শিউরে ওঠার মতো। বোঝা যায়, ঠিক সন্দেশখালিতে কী ধরনের অত্যাচার চলে।
আক্রান্ত আক্রান্ত TV9 বাংলার সাংবাদিক সৌরভ দত্তের মুখে গোটা ঘটনার বিবরণ
শিবু হাজরার পোলট্রি ফার্মেই একটি বাড়ি রয়েছে। সেখানেও আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। সবজি ক্ষেত, সোলার প্যানেল রয়েছে সেখানে। আমরা খবর পাই, শিবুর পোলট্রি ফার্ম, বাগান বাড়িতে উত্তেজিত মানুষ আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন। আমরা সেখানে পৌঁছানোর চেষ্টা করি। আমরা শুধু এটুকুই দেখাতে চেয়েছিলাম, কত বড় আগুন, কী পরিস্থিতি সেখানকার। আমরা যখন বাগানবাড়ির পাশ দিয়ে যাচ্ছিলাম, তখন কয়েকজন বাইকে চেপে আসেন। আমাদের টোটোর পথ আটকান। প্রশ্ন করতে থাকেন, এখানে কেন এসেছেন? কী দেখাতে চাইছেন? আমরা উত্তর দিই। আমি বলি, আমরা ক্যামেরা খুলিনি। আমাদের ধরে তারা প্রথমে এলোপাথাড়ি মারধর করতে শুরু করেন। একের পর এক ঘুষি। ওরা বারবারই বলছিলেন, সন্দেশখালিতে কেন এসেছেন? কেন অশান্ত করতে চাইছেন? আমাদেরও মনে হয়েছিল, ওই ব্যক্তি যুক্তিগ্রাহ্য কথা বলছেন। আমরা বলি, আপনারা যখন চাইছেন না, একটাও শট বাইরে যাবে না। কিন্তু তাঁরা কোনও কথাই শুনতে চাননি। আট জন মতো ছিলেন। মুখ ঢেকে মারধর করতে শুরু করেন। তাঁদের মধ্যে সাদা টিশার্ট পরে একজন ছিলেন, তিনি সব থেকে বেশি আক্রমণাত্মক ছিলেন। ক্যামেরাগুলোকে ভেঙে পায়ে পিষে জলে ফেলে দেওয়া হয়। ক্যামেরার কোনও পার্টসও আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। আমরা বারবার বলতে থাকি, আমাদের ছেড়ে দিন, ক্যামেরাটা ছেড়ে দিন. কোনও কভারেজ হবে না।
সৌরভের পকেটে একটা মোবাইল লুকানো ছিল। বাকি মোবাইল, ক্যামেরা কেড়ে ভেঙে ফেলা হয়েছে। সেই মোবাইল থেকেই অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ করেন সৌরভ।
আক্রান্ত TV9 বাংলার চিত্র সাংবাদিক গৌরব পালের মুখে হামলার বিবরণ
আমার ক্যামেরা হাত থেকে কেড়ে নিয়ে নদীতে ফেলে দিয়েছে। (গৌরব সেভাবে কথা বলার মতো পরিস্থিতিতে ছিল না) এখন সেফ জোনে রয়েছে। তবে প্রাথমিক চিকিৎসার কোনও ব্যবস্থা হয়নি। আমরা বারবার বোঝানোর চেষ্টা করেছিলাম, কোনও ছবি করছি না। কিন্তু আমাদের কোনও কথাই শুনতে চাননি।
এর আগে বীরভূমে খবর করতে আক্রান্ত হয়েছে TV9 বাংলা। এবার সন্দেশখালি! কীসের এত ভয়? কী সত্য প্রকাশ্যে চলে আসার ভয়? সত্য তথ্য তালাশে সর্বদাই থাকবে TV9 বাংলা।
সন্দেশখালি: শুক্রবার জ্বলছে সন্দেশখালি। জেলিয়াখালির হালদারপাড়ায় সন্দেশখালির বাঘ শেখ শাহজাহানের ‘ডান হাত’ শিবু হাজরার পোলট্রি ফার্ম। শুক্রবার সকালে দীর্ঘদিনের চাপা ক্ষোভে তেতে থাকা গ্রামবাসীদের ক্ষোভের ফুলকি বিস্ফোরকের চেহারা নেয়। শিবু হাজরার পোলট্রি ফার্মে আগুন ধরিয়ে দেন তাঁরা। সন্দেশখালির পরিস্থিতি নখদর্পণে রাখতে গত কয়েকদিন ধরে সেখানে পড়ে রয়েছেন TV9 বাংলার প্রতিনিধি সৌরভ দত্ত ও চিত্র সাংবাদিক গৌরব পাল। গোটা পরিস্থিতি তুলে ধরেছেন পর্দার সামনে। শুক্রবার আগুন লাগার খবর পাওয়া মাত্রই টোটোয় চিত্র সাংবাদিককে নিয়ে ঘটনাস্থলের উদ্দেশে ছুটে যাচ্ছিলেন সৌরভ। কিন্তু গ্রামবাসীদের ওপর এতদিন কী ধরনের শোষণ চলেছে, তার কিছুটা আঁচ পাওয়া গেল এদিন। গ্রামবাসীরা একত্রিত হয়ে ক্ষোভের আগুনে ফুঁসছেন। তাই তাঁদের গায়ে আজ কেউ হাত দিলেন না। হাত পড়ল সাংবাদিকের গায়ে।
হালদারপাড়ার দিকে যখন টোটোয় এগোচ্ছিলেন সৌরভ, তখন তিন চার জন বাইকে চেপে টোটো ঘিরে ধরেন। কিছু বুঝে ওঠার আগেই বাইক থেকে নেমে তারা প্রশ্ন করতে থাকেন, খবর করছেন? কী ব্যাপারে? গ্রামের শান্ত পরিবেশ নষ্ট করছেন? ক্যামেরা বন্ধ করার নির্দেশ দিতে থাকেন শিবুর শাকরেদরা। তখনও অবশ্য ক্যামেরা অন্ রেখেছিলেন আমাদের চিত্র সাংবাদিক। সৌরভ তাঁদের বোঝানোর চেষ্টা করেছিলেন। সে সময়ে সৌরভ ‘লাইভে’ ছিলেন। একটা সময় পর্যন্ত গোটা ঘটনার লাইভ টেলিকাস্ট হয়েছে। কিন্তু তা হতে হতেই অন্ধকার হয়ে যায় স্ক্রিন! ততক্ষণে TV9 বাংলার ক্যামেরা কেড়ে ভেঙে জলে ফেলে দেওয়া হয়েছে। সৌরভের গায়ে হাত পড়েছে।
এরপর আধ ঘণ্টা-পঁয়তাল্লিশ মিনিট পর্যন্ত সৌরভ কিংবা গৌরবের সঙ্গে কোনওভাবে যোগাযোগ করতে পারেনি আমরা। কী পরিস্থিতিতে তাঁরা সেখানে ছিলেন, সেটা কোনওভাবে বোঝার উপায় ছিল না। কারণ ঘটনাস্থলে তখন একমাত্র TV9 বাংলায় পৌঁছেছিল, পুলিশও পৌঁছতে পারেনি।
কিছুক্ষণ পর সৌরভের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ সম্ভব হয়। তাঁর মুখে ঘটনার যে ভয়াবহতা উঠে, তা শিউরে ওঠার মতো। বোঝা যায়, ঠিক সন্দেশখালিতে কী ধরনের অত্যাচার চলে।
আক্রান্ত আক্রান্ত TV9 বাংলার সাংবাদিক সৌরভ দত্তের মুখে গোটা ঘটনার বিবরণ
শিবু হাজরার পোলট্রি ফার্মেই একটি বাড়ি রয়েছে। সেখানেও আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। সবজি ক্ষেত, সোলার প্যানেল রয়েছে সেখানে। আমরা খবর পাই, শিবুর পোলট্রি ফার্ম, বাগান বাড়িতে উত্তেজিত মানুষ আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন। আমরা সেখানে পৌঁছানোর চেষ্টা করি। আমরা শুধু এটুকুই দেখাতে চেয়েছিলাম, কত বড় আগুন, কী পরিস্থিতি সেখানকার। আমরা যখন বাগানবাড়ির পাশ দিয়ে যাচ্ছিলাম, তখন কয়েকজন বাইকে চেপে আসেন। আমাদের টোটোর পথ আটকান। প্রশ্ন করতে থাকেন, এখানে কেন এসেছেন? কী দেখাতে চাইছেন? আমরা উত্তর দিই। আমি বলি, আমরা ক্যামেরা খুলিনি। আমাদের ধরে তারা প্রথমে এলোপাথাড়ি মারধর করতে শুরু করেন। একের পর এক ঘুষি। ওরা বারবারই বলছিলেন, সন্দেশখালিতে কেন এসেছেন? কেন অশান্ত করতে চাইছেন? আমাদেরও মনে হয়েছিল, ওই ব্যক্তি যুক্তিগ্রাহ্য কথা বলছেন। আমরা বলি, আপনারা যখন চাইছেন না, একটাও শট বাইরে যাবে না। কিন্তু তাঁরা কোনও কথাই শুনতে চাননি। আট জন মতো ছিলেন। মুখ ঢেকে মারধর করতে শুরু করেন। তাঁদের মধ্যে সাদা টিশার্ট পরে একজন ছিলেন, তিনি সব থেকে বেশি আক্রমণাত্মক ছিলেন। ক্যামেরাগুলোকে ভেঙে পায়ে পিষে জলে ফেলে দেওয়া হয়। ক্যামেরার কোনও পার্টসও আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। আমরা বারবার বলতে থাকি, আমাদের ছেড়ে দিন, ক্যামেরাটা ছেড়ে দিন. কোনও কভারেজ হবে না।
সৌরভের পকেটে একটা মোবাইল লুকানো ছিল। বাকি মোবাইল, ক্যামেরা কেড়ে ভেঙে ফেলা হয়েছে। সেই মোবাইল থেকেই অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ করেন সৌরভ।
আক্রান্ত TV9 বাংলার চিত্র সাংবাদিক গৌরব পালের মুখে হামলার বিবরণ
আমার ক্যামেরা হাত থেকে কেড়ে নিয়ে নদীতে ফেলে দিয়েছে। (গৌরব সেভাবে কথা বলার মতো পরিস্থিতিতে ছিল না) এখন সেফ জোনে রয়েছে। তবে প্রাথমিক চিকিৎসার কোনও ব্যবস্থা হয়নি। আমরা বারবার বোঝানোর চেষ্টা করেছিলাম, কোনও ছবি করছি না। কিন্তু আমাদের কোনও কথাই শুনতে চাননি।
এর আগে বীরভূমে খবর করতে আক্রান্ত হয়েছে TV9 বাংলা। এবার সন্দেশখালি! কীসের এত ভয়? কী সত্য প্রকাশ্যে চলে আসার ভয়? সত্য তথ্য তালাশে সর্বদাই থাকবে TV9 বাংলা।