Sonarpur: হঠাৎ করেই ভাঙড়ের কাছে এসে বন্ধ হয়ে যায় মোবাইল, ‘ট্র্যাক’ করে অবশেষে গ্রেফতার সোনারপুরের জামাল

Sonarpur: তদন্তকারীরা মনে করছিলেন, জামাল পুলিশের হাতে ধরা না দিয়ে সরাসরি আদালতে গিয়ে জামিন নিতে পারেন। কারণ আইন কানুন নিয়ে বেশ হাত পাকিয়েছিলেন জামাল। পূর্বে একাধিক ঘটনায় জামাল প্রত্যাশার অনেক আগেই জামিন পেয়েছিলেন বলে সূত্রের খবর।

Sonarpur: হঠাৎ করেই ভাঙড়ের কাছে এসে বন্ধ হয়ে যায় মোবাইল, 'ট্র্যাক' করে অবশেষে গ্রেফতার সোনারপুরের জামাল
জামালউদ্দিন সর্দারImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 19, 2024 | 10:50 PM

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: অবশেষে পুলিশের জালে জামাল। শুক্রবার রাতে কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স ও নরেন্দ্রপুর থানার বর্ডার এলাকা থেকে  গ্রেফতার সোনারপুরের জামালউদ্দিন সর্দার। সূত্র মারফত খবর পেয়ে তাঁকে  ওই এলাকায় আগে থেকেই ওঁত পেতে ছিলেন তদন্তকারীরা। পরে হাতেনাতে গ্রেফতার। শনিবার তাঁকে বারুইপুর মহকুমা আদালতে পেশ করা হবে। সূত্রের খবর, জামালের সাগরেদ হিসাবে পরিচিত আরব, আলম, কুরবান ও সিরাজুলকে প্রথমে আটক করে সোনারপুর থানার পুলিশ। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করেই নিকট কয়েকজন আত্মীয়ের ফোন ট্যাপ করেছিল পুলিশ। যাঁদের সঙ্গে জামালের যোগাযোগের সম্ভাবনা ছিল অনেকটাই।

তদন্তকারীরা মনে করছিলেন, জামাল পুলিশের হাতে ধরা না দিয়ে সরাসরি আদালতে গিয়ে জামিন নিতে পারেন। কারণ আইন কানুন নিয়ে বেশ হাত পাকিয়েছিলেন জামাল। পূর্বে একাধিক ঘটনায় জামাল প্রত্যাশার অনেক আগেই জামিন পেয়েছিলেন বলে সূত্রের খবর।

পুলিশ জামালের মোবাইল লোকেশন ‘ট্র্যাক’ করতে শুরু করে। কিন্তু মঙ্গলবার দুপুরের পর সেই মোবাইল ফোন ভাঙড়ের কাছে গিয়ে বন্ধ হয়ে যায়। সূত্র মারফত খবর পেয়ে সোনারপুর থানার  সীমানা এলাকা থেকে জামালকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সূত্রের খবর, শনিবার বারুইপুর আদালতে পেশ করে নিজেদের হেফাজতে নেওয়া হবে বলে জানান বারুইপুর পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার পলাশচন্দ্র ঢালি।

গত বুধবার জামালের বিরুদ্ধে  নতুন একটি এফআইআর দায়ের হয়। সেখানেও হেনস্থা এবং তোলাবাজির অভিযোগ করেন এক মহিলা। অভিযোগ, টাকা দেওয়ার পরেও শিকল দিয়ে বেঁধে তাঁকে মারধর করা হয়েছিল। জামাল চেয়েছিলেন ২০ হাজার টাকা। শেষমেশ পাঁচ হাজার টাকা দিয়ে স্বামীকে ছাড়িয়ে বাড়ি নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি।সেই অভিযোগের তদন্তে নেমে জামাল সম্পর্কে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে পুলিশের হাতে।  একের পর এক গ্রামবাসী তাঁর বিরুদ্ধে সালিশি সভা বসিয়ে হেনস্থা, তোলাবাজির অভিযোগ উঠতে থাকে।

জামালের খোঁজ করতে গিয়েই তাঁর প্রাসাদের হদিশ মেলে। র ৫০টি সিসি ক্যামেরার ঘেরাটোপে থাকা বাড়ির সুইমিং পুলে কচ্ছপ, মাঠে ঘোড়া, কী নেই সেই প্রাসাদে। কিন্তু জামালের বিরুদ্ধে অত্যাচারের অভিযোগ তোলেন তাঁর দাদা, মাও। অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর থেকেই ‘জামাল’ ফেরার ছিলেন। অবশেষে গ্রেফতার।