Debipur Chaos: পাওনা টাকা চাওয়ায় ব্যবসায়ীকে তুলে এনে ‘পিটিয়েছিলেন’, সকালবেলাতেই ভরা বাজার থেকে গ্রেফতার তৃণমূল নেতা

TV9 Bangla Digital | Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

May 04, 2022 | 11:14 AM

South 24 pargana: দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ফলতা ব্লকের দেবীপুর গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধান তিনি।

Debipur Chaos: পাওনা টাকা চাওয়ায় ব্যবসায়ীকে তুলে এনে পিটিয়েছিলেন, সকালবেলাতেই ভরা বাজার থেকে গ্রেফতার তৃণমূল নেতা
সনাতন প্রামাণিক (নিজস্ব চিত্র)

Follow Us

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: এলাকা থেকে একাধিক অভিযোগ আগেই আসছিল। কখনও মারধর, কখনও বা হুমকি। অভিযোগ, সম্প্রতি এক মাছ ব্যবসায়ীর থেকে জিনিস কেনার পর তাঁকে টাকা দিতে টালবাহানা করছিলেন তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধান সনাতন প্রামাণিক। পরে ন্যায্য টাকা দাবি করায় তাঁকে তুলে এনে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছিল ওই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, প্রাণে মারারও হুমকি দেওয়া হয় ওই ব্যবসায়ীকে। গোটা ঘটনায় আজ সনাতনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

সম্প্রতি ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার পুলিশ সুপারের কার্যালয় উদ্বোধন করতে যান সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে গিয়ে জেলা পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি। একই সঙ্গে নির্দেশ দেন, যে কোনও ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পুলিশি ব্যবস্থা নেওয়ার। ওয়াকিবহল মনে করছে অভিষেকের এই নির্দেশের পরই তড়িঘড়ি গ্রেফতার হয় তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধান।

কী ঘটেছে?
দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ফলতা ব্লকের দেবীপুর গ্রামপঞ্চায়েত প্রধান সনাতন প্রামাণিক। তাঁর বিরুদ্ধে হুমকি, মারধরের অভিযোগে মামলা রুজু করা হয়েছে। গত কয়েকদিন আগে ঠাকুরপুকুরের এক ব্যবসায়ীর থেকে মাছ নেন সনাতন। তারপর টাকা দিতে টালবাহানা শুরু করেন। এরপর টাকা দেওয়ার নাম করে ডেকে এনে ওই ব্যবসায়ীকে বেধড়ক মারধর করেন বলে অভিযোগ। পরে জখম ব্যবসায়ী ফলতা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ আজ সনাতনকে গ্রেফতার করে। এদিন সকালে ডায়মন্ড হারবারের এসডিপিও মিতুন দে বিশাল বাহিনী নিয়ে দেবীপুরে প্রধানের বাড়িতে উপস্থিত হন। কিন্তু তখন পাওয়া যায়নি অভিযুক্ত নেতাকে। পরে স্থানীয় বাজার থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতকে আজ ডায়মন্ড হারবার মহকুমা আদালতে পেশ করা হবে। তাঁর বিরুদ্ধে হুমকি, মারধরের অভিযোগে মামলা রুজু হয়েছে।

সূত্রের খবর, সনাতন ফলতার পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দোর্দণ্ডপ্রতাপ যুব তৃণমূল নেতা জাহাঙ্গির খানের ঘনিষ্ঠ। এর আগে এক ইঞ্জিনিয়র দম্পতির থেকে তোলার টাকা না পেয়ে প্রকাশ্যে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠেছিল এই নেতার দলবলের বিরুদ্ধে। জানা যায়, ইঞ্জিনয়রের শিক্ষিকা স্ত্রীকেও দলীয় কার্যালয়ের ভেতর ঢুকিয়ে মারধর করা হয়। এমনকী মারের চোটে মহিলার ঘাড়ের হাড়ও ভেঙে যায় বলে খবর। ঘটনার পর থেকে আক্রান্ত দম্পতি এখনও বাড়ি ফিরতে পারেননি।
সেই ঘটনায় পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ উঠেছিল। পুলিশ কোনও অভিযোগ নেয়নি বলেও জানা গিয়েছে। পরে আদালত থেকে জামিন পেয়ে যান সনাতন। তবে এদিনের গ্রেফতারির খবরে ফলতার রাজনৈতিক মহলে জোর চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।‌

 

Next Article