দক্ষিণ ২৪ পরগনা: জমি নিয়ে গত কয়েক মাস ধরেই দুই পরিবারের মধ্য়ে বিবাদ চলছিল। প্রতিবেশীদের মধ্যস্থতায় সেই বিবাদ মিটেও যেত। মঙ্গলবার সকাল থেকে তা আবার চরমে ওঠে। সমস্যা মেটাতে মধ্য়স্থতা করেছিলেন গ্রামবাসীরা। কিন্তু তা কাজে আসেনি। বচসা থেকে হাতাহাতি, তারপর রক্তারক্তি। প্রকাশ্যেই এক ব্যক্তিকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল। ভাইকে বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন তাঁর দাদাও। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবারে। নিহতের নাম ইজাজুল শেখ (৩৫)। ধারাল অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত হয়েছেন তাঁর দাদা মিন্টু শেখও। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে এলাকা ছেড়ে গা ঢাকা দেওয়ার চেষ্টা করে অভিযুক্ত প্রতিবেশী বাবলু শেখ ও দিলু শেখ। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। নিহতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাকি অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রের খবর, জমি সংক্রান্ত বিবাদ ঘিরে গত কয়েক মাস ধরে মনোমালিন্য চলছিল ইজাজুল শেখ ও বাবলু শেখের পরিবারের মধ্যে। প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন, কথায় কথায় ঝামেলা হত ওই দুই পরিবারের মধ্যে। একে অপরের উদ্দেশে কটূক্তি করতেন।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকেই কোনও একটি ছোটো ইস্যুতে দুই পরিবারের মধ্যে বচসা শুরু হয়। তারপর তা চরমে ওঠে। জমি নিয়ে ঝামেলার বিষয়টি আবার মুখ্য হয়ে ওঠে। অভিযোগ তখনই, বাবলু শেখ ও তার পরিবারের জনা পাঁচেক সদস্য ধারাল অস্ত্র নিয়ে চড়াও হয় ইজাজুলের ওপর। এলোপাথাড়ি কোপানো হয় ইজাজুলকে। ভাইকে বাঁচাতে গিয়ে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর জখম হন ইজাজুলের দাদা মিন্টু শেখও।
স্থানীয় বাসিন্দারা কোনওক্রমে ঝামেলা থামিয়ে দুই ভাইকে উদ্ধার করে মগরাহাট ব্লক হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসকরা ইজাজুলকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনার জেরে এলাকায় উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
এক প্রতিবেশী বলেন, “দুই বাড়ির মধ্যে ঝামেলা লেগেই থাকত। গ্রামের সবাই সেটা জানত। কিন্তু রাগ যে এই আকার নেবে, তা কেউ আঁচও করেননি। আমরা চেষ্টা করেও ঠেকাতে পারিনি কিছুই।” আরেক প্রতিবেশী বলেন, “আজকের সমস্যাটা তৈরি হয়েছে ছোট্ট ইস্যুতে। ওরা কেউ কারোর বাড়ির জানালার দিকে তাকিয়ে কিছু একটা বলেছিলেন, সেটা নিয়ে ঝগড়া শুরু হয়। তা থেকেই এত্ত সব।”