এক সঙ্গে বসে রাতের খাবারও খান, শোওয়ার ঘরে বিকট শব্দ শুনতে পেয়ে বাবা-মা গিয়ে দেখলেন, ছেলে কাতরাচ্ছে…

TV9 Bangla Digital | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Aug 19, 2021 | 12:43 PM

South 24 Parganas: প্রদীপের বাবা-মায়ের আর্তনাদেই ছুটে আসেন স্থানীয়রা। প্রতিবেশীরাই প্রদীপকে উদ্ধার করে আমতলা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান।

এক সঙ্গে বসে রাতের খাবারও খান, শোওয়ার ঘরে বিকট শব্দ শুনতে পেয়ে বাবা-মা গিয়ে দেখলেন, ছেলে কাতরাচ্ছে...
নিজস্ব চিত্র

Follow Us

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: রাতে বাবা-মায়ের সঙ্গে বসে খাওয়ারও খান। তারপর নিজের ঘরে চলে যান যুবক। এটাই রোজকার ঘটনা ছিল। বুধবার রাতেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। কিন্তু ছেলে ঘরে চলে যাওয়ার আধ ঘণ্টার মধ্যেই একটি গুলির শব্দ শুনতে পান বাবা-মা। প্রথম বিপদ আঁচই করতে পারেননি। ভেবেছিলেন বাইরের কোনও ঝামেলা। কিন্তু গুলি যে তাঁদের ঘরেই চলেছে! ঘরে গিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় ছেলেকে কাতরাতে দেখে দিশেহারা হয়ে পড়লেন প্রৌঢ় দম্পতি। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই মৃত্যু হয় তাঁর। মর্মান্তিক ঘটনা দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুরের (Bishnupur) চকনিতাই এলাকার। মৃতের নাম প্রদীপ বাগ (২০)।

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে খাওয়া দাওয়ার পর প্রদীপ তাঁর নিজের ঘরে চলে যান।
এরপর তাঁর বাবা-মা একটি আওয়াজ শুনে তাঁর ঘরে ছুটে যান। প্রদীপের বাবার বয়ান অনুযায়ী, ঘরে গিয়ে দেখা যায় বিছানা রক্তে ভেসে যাচ্ছে। ছেলেও কাতরাচ্ছে। কপালে গভীর ক্ষত। সেখান থেকে রক্ত বেরিয়ে সারা শরীর মাখামাখি। পাশেই পড়েছিল একটি আগ্নেয়াস্ত্র।

প্রদীপের বাবা-মায়ের আর্তনাদেই ছুটে আসেন স্থানীয়রা। প্রতিবেশীরাই প্রদীপকে উদ্ধার করে আমতলা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। চিকিত্সকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। প্রতিবেশীদের বক্তব্য, সারাক্ষণ মোবাইলে ব্যস্ত থাকতেন প্রদীপ। গেম খেলতেন সারাক্ষণ।

প্রেমঘটিত কোনও এমন ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে মনে করছেন প্রতিবেশীরা। তবে নির্দিষ্ট কোনও কারণ স্পষ্ট নেই তাঁদের কাছেও। তবে প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন, প্রদীপের কাছে এর আগে কখনও আগ্নেয়াস্ত্র দেখেননি তাঁরা। বন্দুক কোথা থেকে্ এল, তা বুঝতে পারছেন না বাবা-মাও।

প্রদীপরা দুই ভাই। বড় দাদা বিশেষ ভাবে সক্ষম। ছোট ছেলের এই কাণ্ডে রীতিমতো দিশেহারা বাবা-মা। তবে একটা প্রশ্ন উঠছে, আগ্নেয়াস্ত্র কোথায় পেল গুলি বা কোথায়ই বা পেল বন্দুক? স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, একা চোরা ছিলেন প্রদীপ। বিশেষ মেলামেশা করতেন না। মোবাইলেই মগ্ন থাকতেন। কী কারণে এমনটা করল, বোঝা যাচ্ছে না। পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, নিজেই কপালে বন্দুক লাগিয়ে গুলি চালিয়েছেন যুবক। তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। আরও পড়ুন: Post Poll Violance: জোর ধাক্কা রাজ্য সরকারের! NHRC-র সুপারিশেই সিলমোহর হাইকোর্টের, তদন্ত করবে CBI

Next Article