AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

দল ছাড়লেন আরও এক তৃণমূল বিধায়ক

স্পিড পোস্টের মাধ্যমে তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি ও জেলা সভাপতি শুভাশিস চক্রবর্তীকে পদত্যাগ পত্র পাঠিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।

দল ছাড়লেন আরও এক তৃণমূল বিধায়ক
প্রতীকী চিত্র
| Updated on: Feb 01, 2021 | 3:27 PM
Share

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: তৃণমূলে দল ছাড়ার ঝোড়ো ইনিংস অব্যাহত। দল থেকে পদত্যাগ করলেন ডায়মন্ড হারবারের বিধায়ক দীপক হালদার (Diamond Harbour MLA Dipak Halder)। স্পিড পোস্টের মাধ্যমে তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি ও জেলা সভাপতি শুভাশিস চক্রবর্তীকে পদত্যাগ পত্র পাঠিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।

তাঁকে ঘিরে জল্পনা চলছিল বেশ কয়েকদিন ধরেই। তৈরি হয়েছিল তাঁর বিজেপি-যোগ গুঞ্জনও। তবে ডুমুরজলার ‘হাইভোল্টেজ’ ‘মেগা যোগদান মেলা’ হয়ে যাওয়ার পর গুঞ্জনে জল পড়ে বলেই মনে করেছিলেন রাজনৈতিক কুশীলবরা। কারণ রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রবীর ঘোষাল, বৈশালী ডালমিয়া, রথীন চক্রবর্তীদের মতো তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতারা বিজেপিতে গেলেও, সেই তালিকায় নাম ছিল না দীপক হালদারের। কিন্তু রাত পোহাতেই ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠল নামটি। চমক গিলেন দীপক। স্পিড পোস্টে দলীয় নেতৃত্বের কাছে পাঠিয়ে দিলেন দল ছাড়ার বার্তা।

ফাইল ছবি

গত মাসেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) কুলতুলির সভায় যোগ দেননি দীপক। তখন থেকেই দলের সঙ্গে তাঁর সমান্তরাল ফারাকটা স্পষ্ট হয়ে ওঠে। তিনি প্রকাশ্যে বলেন, সঠিকভাবে অভিষেকের সভায় যাওয়ার জন্য আমন্ত্রণই জানানো হয়নি তাঁকে। দলের প্রতি ক্ষোভ উগরে দেন তিনি।

বলাইবাহুল্য, তার আগেই লক্ষ্মীরতন শুক্লার ইস্তফার দিনই বিজেপি নেতা শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে গিয়ে বৈঠক করেছিলেন দীপক হালদার। খবর হয়, শুরু হয় জল্পনা। সেদিন বৈঠকে ছিলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা কর্মাধ্যক্ষও। সেদিন বিধায়ক বিতর্ক এড়াতে বলেছিলেন, ব্যক্তিগত সম্পর্কের খাতিরেই পুরনো নেতা-সহকর্মীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন তিনি।

আরও পড়ুন: টার্গেট উত্তর! জমি পুনরুদ্ধারে কোন ‘মাস্টার স্ট্রোক’ দেবেন মমতা?

জল্পনা বা গুঞ্জন কি আর থেমে থাকে তাতে! একের পর এক দলীয় কর্মসূচিতে তাঁর অনুপস্থিতি, খোদ অভিষেকের সভায় তাঁর না থাকা- দলের সঙ্গে তাঁর দূরত্বটা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় । আজ তাতে জ্যোতিচিহ্ন পড়ল! বিশ্লেষকরা বলছেন, তৃণমূলে তাতে নতুন করে অস্বস্তি তৈরি হওয়ার কিছুই নেই। কারণ আগে থেকেই দলের প্রতি ক্ষোভের আভাস দিয়েছিলেন দীপক।