দক্ষিণ ২৪ পরগনা: নাবালিকাকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে নাম জড়িয়েছে পাড়ারই যুবকের। অথচ পুলিশ দোষীকে ধরার ক্ষেত্রে গড়িমসি করছে বলে অভিযোগ বিজেপির। প্রতিবাদে রবিবারই সাগর থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখালেন বিজেপি কর্মীরা। বিজেপির কয়েকশো কর্মী, সমর্থক এদিন থানা ঘেরাও অভিযানে নামে। এদিনই দুপুরে সাগরে যান বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল। নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখাও করেন তিনি। সেখান থেকে বেরিয়ে অগ্নিমিত্রা বলেন, পুলিশ চাইলে সব পারে। অথচ চারদিন দিন পার হয়ে গেল এখনও একটা বাচ্চা মেয়ের অপরাধীকে তারা ধরতে পারল না।
অগ্নিমিত্রা পাল বলেন, “আমরা সাগর থানার ওসির সঙ্গে কথা বলেছি। চারদিন হয়ে গেল। ওসি দেবাশিস রায় ও তাঁর টিম এতটাই অক্ষম যে ছোট্ট মেয়েটিকে নির্যাতন করেছে যে এখনও তাকে ধরতে পারেনি বা ধরেনি। পুলিশ চাইলে এমন কাজ নেই যা তারা করতে পারে না। আজ আমরা বলে এসেছি ২৪ ঘণ্টা সময় দিলাম। সোমবারের মধ্যে গ্রেফতার না হলে মঙ্গলবার থেকে আমাদের সমস্ত কর্মী এই থানা ঘেরাও করবে। ৯ বছরের একটা বাচ্চা মেয়েকে নৃশংসভাবে নির্যাতন করা হল। তাকে বিচার পাইয়ে দেওয়ার কোনও চেষ্টাই এই সরকারের নেই। বরং ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। শাসানি দিচ্ছে শাসকদলের লোকজন।”
যদিও ওই নির্যাতিতার পরিবারের বক্তব্য, “৩ তারিখ রাতের ঘটনা। আমাদের পাড়ারই একটি ছেলে এই ঘটনা ঘটায়। আমরা পুলিশকে জানাই। আমাদের প্রশাসন সবরকমভাবেই সহযোগিতা করছে। এলাকার বিধায়ক বঙ্কিম হাজরার উপর আমাদের ভরসা আছে। উনি সহযোগিতাও করছেন। এখনও অভিযুক্ত ধরা পড়েনি। তবে বিধায়ক এসেছিলেন, উনি আমাদের পাশে থাকার কথা বলে গিয়েছেন।” অন্যদিকে তৃণমূল বিধায়ক বঙ্কিম হাজরা বলেন, “অত্যন্ত নিন্দনীয় ঘটনা। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক এটা আমি চাই। পুলিশ প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছি। তদন্তও শুরু হয়েছে। আমরা এই পরিবারের সঙ্গে রয়েছি।”
অভিযোগ, গত বুধবার সন্ধে নাগাদ টিউশন পড়ে বাড়ি ফেরার পথে নাবালিকাকে তুলে নিয়ে গিয়ে পানের বরজের ভিতর যৌন নির্যাতন করা হয়। রাতে সে অসুস্থ হয়ে পড়লে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনার পরই পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযুক্ত যুবককে খুঁজছে। শনিবার কাকদ্বীপ মহকুমা হাসপাতালে নাবালিকার শারীরিক পরীক্ষা করানো হয়। কাকদ্বীপ মহকুমা আদালতে গোপন জবানবন্দিও দেয় নাবালিকা।
আরও পড়ুন: Crime News: ফিটফাট শাড়ি, রাস্তার ধারে বসেছিল মহিলা! তার মনে যে এমন ছিল, কে জানত…
আরও পড়ুন: Kolkata Book Fair: বইয়ের পাতায়ও কি যুদ্ধ লাগে? বইমেলায় রাশিয়ার ফাঁকা স্টল উস্কে দিচ্ছে প্রশ্ন