Diamond Harbour Oxygen Plant: গঙ্গাসাগরের কথা মাথায় রেখে সুন্দরবনের গ্রামীণ হাসপাতালে অক্সিজেন প্ল্যান্ট!

TV9 Bangla Digital | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Nov 12, 2021 | 7:50 AM

Oxygen Plant: গঙ্গাসাগর মেলায় লক্ষ লক্ষ মানুষের ভিড়ের কথা মাথায় রেখে জানুয়ারি মাসের শুরুতেই এই অক্সিজেন প্ল্যান্ট চালু হবে বলে জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। এই প্ল্যান্ট বসায় খুশি সাগরের বাসিন্দারাও।

Diamond Harbour Oxygen Plant: গঙ্গাসাগরের কথা মাথায় রেখে সুন্দরবনের গ্রামীণ হাসপাতালে অক্সিজেন প্ল্যান্ট!
ডায়মন্ডহারবারে তৈরি হচ্ছে অক্সিজেন প্ল্যান্ট

Follow Us

ডায়মন্ড হারবার: দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবার স্বাস্থ্য জেলার মধ্যে একমাত্র সাগর গ্রামীণ হাসপাতালে আগেই ১০০ বেডের কোভিড চিকিৎসার ব্যবস্থা চালু করা হয়েছিল। এবার সুন্দরবনের দ্বীপাঞ্চলের এই গ্রামীণ হাসপাতালে শুরু হল অক্সিজেন প্ল্যান্ট তৈরির কাজ। আসন্ন গঙ্গাসাগর মেলায় লক্ষ লক্ষ মানুষের ভিড়ের কথা মাথায় রেখে জানুয়ারি মাসের শুরুতেই এই অক্সিজেন প্ল্যান্ট চালু হবে বলে জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। এই প্ল্যান্ট বসায় খুশি সাগরের বাসিন্দারাও।

সুন্দরবনের অন্যতম বড় দ্বীপ সাগর। কোভিড চলাকালীন কোভিড আক্রান্ত রোগীদের অক্সিজেন পরিষেবা দিতে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে। বিচ্ছিন্ন এই দ্বীপে সময় মতো অক্সিজেন সরবরাহ করা সম্ভব হত না। কারণ, ডায়মন্ড হারবার থেকে সাগরে আসতে হলে মুড়িগঙ্গা নদী পার করতে হয়।

কিন্তু নদীতে ভাটা হয়ে গেলে ৬-৭ ঘন্টা কাকদ্বীপের লট এইটে বসে থাকতে হয়। যার ফলে রোগীদের সঠিক সময়ে অক্সিজেন সরবরাহ করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। ফলে গঙ্গাসাগর মেলার কথা মাথায় রেখে কোভিড মোকাবিলায় জন্য সাগর গ্রামীণ হাসপাতালে তৈরি হচ্ছে ‘প্রেশার সুইং অ্যাডসর্পশন’ (পিএসএ) মেডিক্যাল অক্সিজেন প্লান্ট। ডায়মন্ড হারবার স্বাস্থ্য জেলার অধীন এই প্রথম কোনও গ্রামীণ হাসপাতালে তৈরি হচ্ছে অক্সিজেন প্লান্ট। রাজ্যে করোনা আক্রান্তদের সংখ্যা ধীরে ধীরে বাড়ছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলাতেও কোভিডের সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। ‘পিএসএ’ মেডিক্যাল অক্সিজেন প্ল্যান্ট চালু হলে প্রতি মিনিটে ৮০০ লিটার করে অক্সিজেন তৈরি হবে।

করোনা (COVID ) পরীক্ষার জন্য আগেই তৈরি হয়েছিল আরটিপিসিআর ল্যাব। এবার ডায়মন্ড হারবার (Diamond Harbour) মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে গড়ে উঠতে চলেছে অত্যাধুনিক ভাইরাস রিসার্চ অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক ল্যাবরেটরি। ফলে হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের শরীরে সংক্রমিত ভাইরাসকে অল্প সময়ের মধ্যে এই ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষার মাধ্যমে চিহ্নিত ও নির্ধারণ করে দ্রুত চিকিৎসা শুরু করা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন হাসপাতালের চিকিৎসকেরা।

দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বিভিন্ন প্রান্তের পাশাপাশি সুন্দরবন এলাকার বাসিন্দাদের চিকিৎসার ক্ষেত্রে এই ল্যাবরেটরি আগামী দিনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করবে বলে আশাবাদী মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। কারণ, আগামী দিনে ব্লক হাসপাতাল, মহকুমা হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে কোভিড আক্রান্ত রোগীদের নমুনা নাইসেডের পরীক্ষাগারে আর পাঠাতে হবে না।

করোনার গ্রাফচিত্রের উর্ধ্বমুখী হার দেখে শঙ্কিত বিশেষজ্ঞরাও। চিকিত্সকরা জানাচ্ছেন, গত ৪ দিনে ১.২ শতাংশ থেকে বেড়েছে। পুজোর আগে থেকেই বিশেষজ্ঞরা সাবধান করে এসেছিলেন, বাংলা তৃতীয় ঢেউয়ের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে। যেভাবে পুজোয় বেসামাল জনতা, তাতে আরও একবার সিঁদুরে মেঘ দেখছেন চিকিত্সকরা।

আরও পড়ুন: ‘দলে কাকে নেওয়া হবে তা দিদি ঠিক করবেন…এক ভুল বারবার করব না’

আরও পড়ুন: রাজ্যে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব অজয়কুমার ভাল্লা, নজরে কি সীমান্ত?

Next Article