দক্ষিণ ২৪ পরগনা: দিদির সঙ্গে পাড়ার দাদাকে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখে ফেলেছিল সে। দিদি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে গ্রামের সালিশিসভায় ওই ‘দাদা’র বিরুদ্ধেই সাক্ষী দিয়েছিল বছর দশেকের বালক। আর তার জেরেই খুন হতে হয়েছিল তাকে। বাসন্তীতে (Basanti) এক দশ বছরের নাবালকের খুনের তদন্তে নেমে পুলিশের হাতে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য।
গত ৩ মে বাসন্তীর নেবুখালি গাজিপাড়ার বাসিন্দা সিরাজুল মোল্লার ছেলে সাবির হোসেনের দেহ উদ্ধার হয়। একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় তার দেহ পড়তে থাকতে দেখেছিলেন স্থানীয়রা। তার হাত-পাও বাঁধা ছিল। তবে এই ঘটনায় কাউকেই সন্দেহ করতে পারেননি সিরাজুল। বাসন্তী থানার পুলিশ একটি সাধারণ খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে।
প্রতিবেশী থেকে শুরু করে পরিবারের সদস্যদের জেরা করতে থাকেন তদন্তকারীরা। তখনই উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা যায়, সাবিরের সৎ দিদির সঙ্গে এলাকারই বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম সর্দারের সম্পর্ক ছিল। তাদের একাধিকবার ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখে ফেলেছিল দশ বছরের বাচ্চাটি। এরই মধ্যে সাবিরের দিদি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। গ্রামে বসে সালিশিসভা। সেখানে গোটা ঘটনা বলে দেয় সাবির। তারপর থেকেই রফিকুলের রাগ গিয়ে পড়ে সাবিরের ওপর।
আরও পড়ুন: ভরা বাজারের মধ্যেই তৃণমূল নেতার শিরদাঁড়া ফুঁড়ে গেল বুলেট!
গত ২ তারিখ সাবিরকে অপহরণ করে রফিকুল। পরিবারের সদস্যরা সম্ভাব্য সমস্ত জায়গায় সাবিরের খোঁজ করেন। কিন্তু তাকে পাওয়া যায়নি। পরের দিন অর্থাৎ ৩ মে গ্রামেরই পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় তার দেহ। ঘটনার তদন্তে নেমে ৫ দিনের মধ্যে এই খুনের কিনারা করে পুলিশ। রফিকুলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার করা হয়েছে আরও এক নাবালককে। এই ঘটনায় আর কেউ জড়িত কিনা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।