দক্ষিণ ২৪ পরগনা: আবারও বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার ট্রলার ডুবি। মঙ্গলবার সকালে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জম্বুদ্বীপের কাছে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরছিল এফবি মমতাময়ী ট্রলার। সেই সময় জাল গোটাতে গিয়ে ইঞ্জিনে জড়িয়ে যায়। জড়িয়ে যাওয়ার পরেই ৮ মৎস্যজীবী-সহ ট্রলারটি উল্টে যায়। ডুবন্ত ট্রলারের মৎস্যজীবীরা তেলের ব্যারেল, ট্রলারে থাকা ভাসমান বস্তু নিয়ে উত্তাল সমুদ্রে ভাসতে থাকেন।
কারোর সঙ্গে যোগাযোগও করতে পারেননি মৎস্যজীবীরা। এভাবে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা জলে ভেসে ছিলেন তাঁরা। সেই সময় দূর থেকে যাওয়া একটি ট্রলার ভেসে থাকা মৎস্যজীবীদের দেখতে পান। সেই ট্রলার গিয়ে ৮ মৎস্যজীবীকে উদ্ধার করে। উদ্ধার মৎস্যজীবীদের সাগরের মায়াগোয়ালিনী ঘাটে আনা হয়।
ততক্ষণে খবর পেয়ে সাগর উপকূল থানার পুলিশও পৌঁছে যায় ঘাটে। উদ্ধার মৎস্যজীবীদের নিয়ে আসা হয়েছে সাগর গ্রামীণ হাসপাতালে। ডুবে যাওয়া ট্রলারটি বেলার দিকে মায়াগোয়ালিনী ঘাট থেকে রওনা দিয়েছিল। মৎস্যজীবীদের হাসপাতালে দেখতে আসেন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা। প্রত্যেকেই আপাতত স্থিতিশীল বলে হাসপাতাল বলে জানা গিয়েছে। উদ্ধার মৎস্যজীবীরা সাগরের বেগুয়াখালির বাসিন্দা। তবে ডুবে যাওয়া ট্রলারটির কোন খোঁজ মেলেনি।
২১ জুন বঙ্গোপসাগরে একটি ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটে। মা মহেশ্বরী’ নামে একটি ট্রলারে চেপে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন ১৩ জন মৎসজীবী। শৌলা থেকে বেশ কিছুটা দূরে ডুবে যায় ট্রলারটি। ১৩ জন মৎসজীবীই প্রাণ বাঁচাতে ঝাঁপ দিয়েছিলেন উত্তাল সমুদ্রে। সেই সময় আশপাশে আরও কয়েকটি ট্রলার ছিল। সেই ট্রলারগুলিতে থাকা মৎসজীবীরাই তাঁদের উদ্ধার করেন। দড়ি ছুড়ে দেন তাঁদের দিকে। সেই দড়ি ধরেই ট্রলারগুলিতে গিয়ে ওঠেন ওই ১৩ জন মৎসজীবী।