Bhangar Power Grid: পাওয়ার গ্রিডে ঝুলল তালা, ফের অশান্ত ভাঙড়

TV9 Bangla Digital | Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Jul 05, 2022 | 3:02 PM

West Bengal: জানা গিয়েছে, কমিটির নানা রকম বক্তব্য রয়েছে। সরকারের সঙ্গে তাদের যা চুক্তি রয়েছে তা পূরণ হয়নি। সেই কারণে তারা আবারও তালা লাগিয়ে দিয়েছে।

Bhangar Power Grid: পাওয়ার গ্রিডে ঝুলল তালা, ফের অশান্ত ভাঙড়
ভাঙড়ে উত্তেজনা (নিজস্ব ছবি)

Follow Us

ভাঙড়: ভাঙড়ের পাওয়ার গ্রিডে ঝুলল ফের তালা। আবারও সেখানে তালা লাগিয়ে দিল জমি-জীবিকা-পরিবেশ রক্ষা কমিটির সদস্যরা। কমিটির সদস্যদের অভিযোগ, সরকারি চুক্তি অনুযায়ী তাদের দাবি এখনও পূরণ করা হয়নি। দাবি পূরণ না হওয়ায় গ্রিডে তালা লাগানো হয়েছে বলে কমিটি সূত্রে খবর। জানা গিয়েছে, কমিটির নানা রকম বক্তব্য রয়েছে। সরকারের সঙ্গে তাদের যা চুক্তি রয়েছে তা পূরণ হয়নি। সেই কারণে তারা আবারও তালা লাগিয়ে দিয়েছেন।

কমিটির কী কী দাবি ছিল?

১) বিদ্যাধরী নদীর সংস্কার

২) পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ।

৩)হিমঘর তৈরি

৪)আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে যে মামলা ছিল তা প্রত্যাহার করা।

এই বিষয়ে ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘জমি আন্দোলনের নামে যারা এই আন্দোলন করছেন তারা ভুল করছে। তার কারণ এর আগেও আমরা ডিএম অফিসে দুবার বসেছি। একটা সরকারি প্রকল্পে একটু সময় লাগে।অধৈর্য হলে মুশকিল। সরকারকেও কোনও পদক্ষেপ করতে হবে এবার।’

আন্দোলনকারীদের নেতৃত্ব দেওয়া মির্জা হাসান বলেন,’ সরকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল পঁয়তাল্লিশ দিনের মধ্যে কাজ সম্পন্ন হবে। দেড় বছর পার হয়ে গিয়েছে। কিছুই হয়নি। আমরা আন্দোলন করতে এখন বাধ্য হচ্ছি। এইভাবে হুমকি দিয়ে আন্দোলন থামিয়ে দেওয়া যাবে না। আরও অনেক গতি নিয়ে আমরা এগিয়ে যাব এই আন্দোলন আমরা চালিয়ে যাব। দাবি আদায় করে ছাড়ব।’

প্রসঙ্গত, পাওয়ার গ্রিড নিয়ে একসময় রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছিল ভাঙড়। সেসব এখন আর নেই বললেই চলে। নিজেদের দাবি নিয়ে নিজেরাই সচেষ্ট মির্জা হাসান, মোসারেফ মোল্লারা। সঙ্গে খামার আইট, পদ্মপুকুর-সহ এলাকার সাধারণ মানুষ। সব মিলিয়ে মঙ্গলবার সকাল থেকে আবার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ভাঙড়। দাবি মেনে না নিলে আবার অনির্দিষ্টকালের জন্য কাজ বন্ধ হতে পারে বলে হুঁশিয়ারী দেন স্থানীয়রা। পাওয়ার গ্রিড নিয়ে এর আগেও তাঁরা আন্দোলনে নেমেছিলেন, সরগরম হয়ে উঠেছিল রাজ্য-রাজনীতি। সকাল থেকেই সেই ছবিই দেখতে পাওয়া যায় ভাঙড়ের পাওয়ার গ্রিড চত্ত্বরে। গোটা এখনও পর্যন্ত প্রশাসনের তরফে কোনও রকম উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি।

Next Article