COVID: এবার ডায়মন্ড হারবারে তৈরি হতে চলেছে ভাইরাস রিসার্চ ল্যাব, খুশি প্রত্যন্ত এলাকার বাসিন্দারা

TV9 Bangla Digital | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Oct 17, 2021 | 7:30 AM

Diamod Harbour: সম্প্রতি রাজ্য সরকারের কাছ থেকে সবুজ সঙ্কেত মেলায় ল্যাবরেটরি গড়ে তোলার পক্রিয়া একধাপ এগিয়ে গিয়েছে।

COVID: এবার ডায়মন্ড হারবারে তৈরি হতে চলেছে ভাইরাস রিসার্চ ল্যাব, খুশি প্রত্যন্ত এলাকার বাসিন্দারা
কোভিড ল্যাব (ফাইল ছবি)

Follow Us

ডায়মন্ডহারবার: করোনা (COVID ) পরীক্ষার জন্য আগেই তৈরি হয়েছিল আরটিপিসিআর ল্যাব। এবার ডায়মন্ড হারবার (Diamond Harbour) মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে গড়ে উঠতে চলেছে অত্যাধুনিক ভাইরাস রিসার্চ অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক ল্যাবরেটরি। ফলে হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের শরীরে সংক্রমিত ভাইরাসকে অল্প সময়ের মধ্যে এই ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষার মাধ্যমে চিহ্নিত ও নির্ধারণ করে দ্রুত চিকিৎসা শুরু করা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন হাসপাতালের চিকিৎসকেরা।

সম্প্রতি রাজ্য সরকারের কাছ থেকে সবুজ সঙ্কেত মেলায় ল্যাবরেটরি গড়ে তোলার পক্রিয়া একধাপ এগিয়ে গিয়েছে। কেবলমাত্র কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের অধীন ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চের ছাড়পত্র পাওয়ার অপেক্ষায় মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বিভিন্ন প্রান্তের পাশাপাশি সুন্দরবন এলাকার বাসিন্দাদের চিকিৎসার ক্ষেত্রে এই ল্যাবরেটরি আগামী দিনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করবে বলে আশাবাদী মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। কারণ, আগামী দিনে ব্লক হাসপাতাল, মহকুমা হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে কোভিড আক্রান্ত রোগীদের নমুনা নাইসেডের পরীক্ষাগারে আর পাঠাতে হবে না।

পাশাপাশি কলকাতার হাসপাতালে রোগী রেফারের সংখ্যাও কমবে। এই ল্যাবে শুধুমাত্র করোনা ভাইরাস নির্ণয়ের পরীক্ষার পাশাপাশি সমস্ত রকম ভাইরাস নিয়ে কাজকর্ম হবে। হেপাটাইটিস বি, হেপাটাইটিস সি সহ অন্যান্য ভাইরাস ছাড়াও ভবিষ্যতে করোনা ভাইরাসের মত যদি কোন নতুন ভাইরাসের খোঁজ মেলে, তা নিয়েও কাজকর্ম হবে বলে জানা গিয়েছে। ফলে সুন্দরবনের প্রান্তিক এলাকার বাসিন্দাদের কলকাতায় যাতায়াতের সময় ও অর্থ দুটোই বাঁচবে বলে মনে করছেন চিকিৎসকেরা।

পুজোয় বেড়েছে করোনার পজিটিভিটি রেট। শনিবার রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী গত একদিনে পজিটিভিটি রেট ২.৩৩ শতাংশ। একদিন আগেই যা ছিল ২.১৩ শতাংশ। শনিবার রাজ্যে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৪৪৩ জন। মৃত্যু হয়েছে ১০ জনের।

করোনা মুক্ত হয়েছেন ৫০১ জন। সুস্থতার হার ৯৮.৩৩ শতাংশ। একদিনে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১৯ হাজার ১৮টি। গত একদিনে সব থেকে বেশি সংক্রমণ হয়েছে কলকাতায়। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় শুক্রবার আক্রান্ত ২১ জন। শেষ ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ২০ । শেষ ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ ৩৪ জন। শুক্রবার মৃত্যু-০, শনিবার মৃত্যু-১।

স্বাস্থ্য় দফতরের তরফে ইতিমধ্যেই একটি লেখচিত্র প্রকাশ্যে আনা হয়েছে। কীভাবে গত কয়েকদিনে করোনায় পজিটিভিটি রেট বাড়ছে, তা রাজ্য সরকারের সর্বশেষ বুলেটিনেই স্পষ্ট। চতুর্থীর দিন রাজ্যে একদিনে করোনার এই পজিটিভিটি রেট ছিল ২.১৩%। পঞ্চমীতে তা বেড়ে হয় ২.১৫%। ষষ্ঠীর দিন পজিটিভিটি রেট আরও বেড়ে পৌঁছয় ২.৩২ শতাংশে। নবমীতে এই হার বেড়ে দাঁড়ায় ২.৯৩ শতাংশ।

করোনার গ্রাফচিত্রের উর্ধ্বমুখী হার দেখে শঙ্কিত বিশেষজ্ঞরাও। চিকিত্সকরা জানাচ্ছেন, গত ৪ দিনে ১.২ শতাংশ থেকে বেড়েছে। পুজোর আগে থেকেই বিশেষজ্ঞরা সাবধান করে এসেছিলেন, বাংলা তৃতীয় ঢেউয়ের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে। যেভাবে পুজোয় বেসামাল জনতা, তাতে আরও একবার সিঁদুরে মেঘ দেখছেন চিকিত্সকরা।

আরও পড়ুন: Vaccine Anthem: টিকাকরণে কেন্দ্রের নয়া উদ্যোগ, যাবতীয় দ্বিধা দূর করবে ভ্যাকসিন সঙ্গীত

Next Article