দক্ষিণ ২৪ পরগনা: সীমান্তে চোরা চালানকারীরা সর্বদাই সক্রিয়। সবসময়ই চেষ্টা চলে বিএসএফের নজর এড়িয়ে সীমান্ত পার করে কখনও সোনা, কখনও গরু পাচারের। তবে সীমান্তরক্ষীরাও সর্বদা নজরদারি চালায়। আর সেই নজরদারিতে উদ্ধার হল ৭০,০০০ কেজি সুপুরি। দু’টি বাংলাদেশী ট্রলার এবং ২৭ জন বাংলাদেশিকে আটক করা হয়েছিল। এবার এই ঘটনায় এক কাস্টমস অফিসার স্ক্যানারে।
গত ২৮ জানুয়ারি মোহনা পয়েন্ট (সুন্দরবন এলাকা) থেকে বিএসএফ ২টি বাংলাদেশি ট্রলারকে আটক করে। দু’টি ট্রলারই নিউ মুর দ্বীপের কাছে অবৈধভাবে ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশ করছিল। অভিযোগ, দক্ষিণ ২৪ পরগনার ঝড়খালি ফেরি জেটিতে ওই পণ্যগুলি অফলোড করতে যাচ্ছিল। পরে তা ভারতীয় চোরাচালানকারীদের হাতে তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল।
এই ঘটনায় বিএসএফ ১১৫২ ব্যাগ সুপারি উদ্ধার করে এবং ২৭ জন বাংলাদেশি নাগরিককে ধরে। প্রায় ৩ কোটি টাকার সুপারি ছিল বলে খবর। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অমল ঢালি, প্রভাকর মণ্ডল, অভিজিৎ ঘোষ ও রাজু নামে চার ভারতীয় চোরাকারবারীকে শনাক্ত করা হয়। আটকদের মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করে তা ৩০ জানুয়ারি ডিআরআই-এর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছিল।
ডিআরআই কল লিস্ট খতিয়ে দেখে শুক্রবারই এক কাস্টমস সুপারিনটেনডেন্টের নাম উঠে আসে বলে খবর। জানা গিয়েছে, ওই আধিকারিক আগে জিএসটি শাখায় কাজ করেছেন। দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের জনসংযোগ আধিকারিক ও ডিআইজি এ. কে আর্য বলেন, বিএসএফ চোরাচালান কার্যকলাপের বিরুদ্ধে লড়াই এবং সীমান্ত এলাকায় আইনের শাসন বজায় রাখার লক্ষ্যে অবিচল। অন্যদিকে অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর জেনারেল, ইস্টার্ন কমান্ড (বিএসএফ) রবি গান্ধী বলেন, আন্তঃসীমান্ত চোরাচালান চক্রকে ধরতে সীমান্ত নিরাপত্তা বাহিনী বদ্ধপরিকর। এক ইঞ্চি জমিও ছাড়া হবে না।