Canning Murder Update: গা ঢাকা দিয়েও লাভ হল না! তৃণমূল নেতা খুনে গ্রেফতার দলেরই আরও ৩

TV9 Bangla Digital | Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Nov 24, 2021 | 8:43 AM

South 24 pargana: খুনের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত নিকারীঘাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল উপ প্রধান পাঁচু সাফুই সহ মোট ৬ জন গ্রেফতার হয়েছে।

Canning Murder Update: গা ঢাকা দিয়েও লাভ হল না! তৃণমূল নেতা খুনে গ্রেফতার দলেরই আরও ৩
তৃণমূল নেতা খুনে গ্রেফতার তৃণমূল কর্মী। (নিজস্ব ছবি)

Follow Us

ক্যানিং: একদিন পর আবার ফের। ক্যানিংয়ে (Canning) তৃণমূল নেতা (Tmc) খুনে ধৃত আরও তিন তৃণমূল কর্মী। গতকাল রাতেই তিনজনকে আনা হয় ক্যানিং থানায় (Canning Police station)। আজ তাদের আদালতে তোলা হবে।

অভিযুক্তদের নাম আকবর গাজি ও আক্কাস কাজি ও মামুদ আলি সর্দার। এদের মধ্যে আকবর ও আক্কাসকে পুলিশ জয়নগরের খাকুড়দহ এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। ক্যানিং থেকে গ্রেফতার করা হয় মামুদ আলিকে। এরা প্রত্যেকেই গা ঢাকা দিয়েছিল।

সিসিটিভি (CCTV) ফুটেজ অনুযায়ী উক্ত ওই তিনজনের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে খুনের দিন ব্যবহৃত অটো। গতকাল রাতে তাদের গ্রেফতার করে ক্যানিং থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। আজ তাদের আলিপুর আদালতে পাঠান হবে। যদিও মূল অভিযুক্ত রফিক শেখ এখনও অধরা।

কিছুদিন আগে তৃণমূল নেতা খুনের ঘটনায় উত্তপ্ত হয়েছিল ক্যানিং। রীতিমত বিক্ষোভে নেমেছিল এলাকার তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা। গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের জেরেই এই খুন বলে খবর। সেই ঘটনার পর থেকে জোর কদমে চলছিল পুলিশের তল্লাশি অভিযান। আর সেই অভিযানের পরই পুলিশের হাতে আসছিল একের পর এক অপরাধী। একদিন আগে অর্থাৎ ২২ নভেম্বর দলেরই পঞ্চায়েত উপ প্রধান সহ তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

গত শনিবার রাতে নিকারীঘাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের বেলেখালি গ্রামে, নিজের বাড়ির কাছেই আচমকা গুলিবিদ্ধ হন ক্যানিংয়ের নিকারীঘাটা অঞ্চল যুব তৃণমূল সভাপতি মহরম শেখ (Maharam Sekh)। ঘটনার সময় সিসিটিভি ফুটেছে যাদের দেখা গিয়েছিল, এলাকার সেই মূল নেতা ও তার সঙ্গীদের এখনো ধরা যায়নি এখনও।

প্রসঙ্গত, শনিবার বাড়ির সামনে আততায়ীদের গুলিতে গুরুতর জখম হন যুব তৃণমূল নেতা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই তৃণমূল নেতাকে ভর্তি করা হয় কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে। জানা যায়, ক্যানিং থানার নিকারীঘাটা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার যুব তৃণমূল সভাপতি মহরম শেখ ওইদিন সন্ধ্যার সময় বাড়ির সামনে একটি চেয়ারে বসেছিলেন। একটি অটো করে দুষ্কৃতীরা এসে তাঁকে লক্ষ্য করে পরপর গুলি চালায়। কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই সেখান থেকে চম্পট দেয় তারা। গুলির শব্দে চমকে ওঠে স্থানীয়রা। তাঁরা ছুটে এলে দেখেন রক্তাক্ত অবস্থায় ছটফট করছেন তৃণমূল নেতা।

কী ভাবে এই ঘটনা ঘটল তার বিবরণী দিতে গিয়ে এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, “মহরম হেঁটে এসে আমাদের ওই চেয়ারে বসেছিল। ওরা চারজন অটো নিয়ে এসেছিল। মিয়ারুল, হাফিজুল আর রফিক। আরেকজনকে ঠিক চিনতে পারিনি। এসে গুলিটা করল। তিন রাউন্ড গুলি ছুড়ে এখান থেকে ছুটে চলে গেল।” ওই প্রত্যক্ষদর্শীর সংযোজন, “গাড়িটা এমন অবস্থায় গেল সামনে থাকলে চাপা দিয়ে দিত।” তিনি একে ‘পার্টিগত বিষয়’ বলে দাবি করলেও, আততায়ীরা কোন দল করে সেটা বলতে পারবেন না বলে জানান।

তড়িঘড়ি থেকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা শুরু হয়। গুলিবিদ্ধ তৃণমূল নেতাকে ভর্তি করা হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। রাত ২টো নাগাদ মৃত্যু হয় তার।

আরও পড়ুন: Farm Laws Repeal: বিতর্ক বাড়াতে নারাজ কেন্দ্র, আজই মন্ত্রিসভায় পাশ হতে পারে কৃষি আইন প্রত্যাহারের খসড়া প্রস্তাব

Next Article