Tiger Panic কুলতলির পর ঝড়খালি! নদীর চরে তার পায়ের ছাপ, তবে কি ফের…

TV9 Bangla Digital | Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Dec 28, 2021 | 7:20 PM

Jhorkhali: আজ সকালে কাঁকড়া ধরতে গিয়েই বিষয়টি পরিষ্কার হয় এলাকাবাসীর।

Tiger Panic কুলতলির পর ঝড়খালি! নদীর চরে তার পায়ের ছাপ, তবে কি ফের...
বাঘের ছাপ দেখতে পান এলাকাবাসী (নিজস্ব ছবি)

Follow Us

ঝড়খালি: টানা ছয়দিন পর আজ কুলতলিতে লুকিয়ে থাকা বাঘটি ধরা পড়েছে। বাঘ ধরতে রীতিমত নাজেহাল অবস্থা হয়েছিল বনদফতর থেকে শুরু করে সাধারণের। এই আতঙ্ক কাটতে না কাটতেই আবার বাঘের ভয় গ্রাস করেছে।

এবারের ঘটনাস্থান কুলতলি নয় পাশের ঝড়খালি। বাসন্তী ব্লকের ঝড়খালি ৪ নম্বর স্লইজ এলাকায় মঙ্গলবার দুপুরের পর কাঁকড়া ধরতে গিয়ে বাঘের পায়ের ছাপ দেখতে পায় মৎস্যজীবীরা। এরপর তারা তড়িঘড়ি জঙ্গল থেকে বেরিয়ে এসে খবর দেয় বনদফতরের মাতলা রেঞ্জের ঝড়খালি বিট অফিসে। সেই খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যায় বনদফরের আধিকারিক ও বনকর্মীরা। তবে নদীতে জোয়ারের জল উঠে আসায় নদীর চরে কোনও পায়ের ছাপ খোঁজার কাজ শুরু করা যায়নি। এক এলাকাবাসী বলেন, “তিনজন মহিলা আজকে কাঁকড়া ধরতে গিয়েছিল। ওরা বাঘের পায়ের ছাপ দেখতে পেয়েছে। খবর পাওয়ার বনদফতর এসেছিল। কিন্তু জোয়ারের জল থাকায় ওই ছাপ অতটা স্পষ্ট বোঝা যায়নি।”

তবে বুধবার সকালে আবার বাঘের পায়ের ছাপ খুঁজতে যাবেন বন কর্মীরা। এদিকে বাঘের পায়ের ছাপ মৎস্যজীবীরা দেখতে পাওয়ার ফলে এলাকায় ব্যাপক বাঘের আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। ওই এলাকায় এর আগেও বাঘ এসেছিল বলে দাবি বাসিন্দাদের।

প্রসঙ্গত, পটকা, লঙ্কাবোমা, দমকলের মাধ্যমে জল ছেটানো। কুলতলির দক্ষিণ রায়কে পাকড়াও করতে চেষ্টার কোনও ত্রুটি রাখেননি বনদফতরের কর্মীরা। অবশেষে, ধরা পড়ল বাঘ। ইতিমধ্যেই, ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন পশুচিকিৎসক। বাঘটিকে ঘুমপাড়ানি গুলি করে কাবু করা হয়। কিছু সময় পড়ে বাঘটি সম্পূর্ণ নিস্তেজ হয়ে পড়ে তারপরই তার শারীরিক পরীক্ষা করে ঝড়খালির জঙ্গলে নিয়ে যাওয়া হয়। বনদফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বাঘটিকে কাবু করতে দুটি ঘুমপাড়ানি গুলি করা হয়েছে। গুলি করার  কিছুসময় পরেই নিস্তেজ হয়ে পড়ে বাঘটি।

গত পাঁচদিনে ধরা দেয়নি দক্ষিণ রায়। কুলতলির রয়্যাল বেঙ্গলকে পাকড়াও করতে শেষে আসরে নামে দমকল। হোসপাইপ দিয়ে শুরু হয় জল দেওয়া। বনদফতর সূত্রে খবর, এর আগে বাঘ ধরতে কখনও এভাবে দমকলকে ব্যবহার করা হয়নি। কিন্তু বাধ্য হয়েই অবশেষে আসরে নামে দমকল। মঙ্গলবার সকালে দেখা যায়, হোসপাইপ দিয়ে জঙ্গলের ভেতর জল দেওয়া হয়েছে। তারপর বাঘের অবস্থান বুঝতে পেরে গুলি চালানো হয়।
বৃহস্পতিবার দর্শন গায়েনের চকে ছিল বাঘটি। শুক্রবার ৫ নম্বর গরাণকাটির কাছে চলে যায়। শনিবার বিকালে চলে যায় পিয়ালির জঙ্গলে। জাল দিয়ে জঙ্গল ঘিরছিলেন বনকর্মীরা। তার মধ্যেই গর্জন শুনে এগিয়ে যান গ্রামবাসীরা। বাঘের হানা থেকে বাঁচতে গিয়ে জখম হন এক গ্রামবাসী। তিনদিন ধরে কুলতলির লোকালয়ের কাছে ছিল ওই বাঘ। অবশেষে টানা ছয়দিন পর ধরা পড়ল  রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার।

আরও পড়ুন: Corona: ক্লাসে বসে অধ্যাপক জানলেন তিনি করোনা পজিটিভ, ভয়ে-আতঙ্কে কলেজ ছাড়লেন পড়ুয়ারা

Next Article