দক্ষিণ ২৪ পরগনা: বিজেপি পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে ব্যাপক ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠল তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকদের বিরুদ্ধে। এমনকি পার পেলেন না সিপিএম ও নির্দল নেতাকর্মীরাও। ব্যাপক মারধর করা হল তাঁদের। সোমবার এমনই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়াল জয়নগর দু’নম্বর ব্লকের অন্তর্গত বকুলতলা থানা আওতাধীন বেলে দূর্গানগর গ্রাম পঞ্চায়েতে।
বিজেপি, সিপিএম ও নির্দলদের দ্বারা গঠিত এই গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূলীরা ছিল কোণঠাসা। এদিন বহু তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকরা জড়ো হন। তাঁরা পঞ্চায়েতের কাছে বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই সেই বিক্ষোভ বদলে যায় অশান্তিতে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে একটা সময় উত্তেজিত তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যালয়ের বিভিন্ন ঘরে ঢুকে পড়ে হামলা চালান বলে অভিযোগ। পঞ্চায়েতের চেয়ার-টেবিল, আলমারি একের পর এক আসবাবপত্র ভাঙা শুরু হয়। এমনকি সিসিটিভি ক্যামেরা পর্যন্ত ভেঙে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।
এখানেই শেষ নয়। ভাঙা হয়েছে পঞ্চায়েত অফিসের টিভি ও গ্রাম পঞ্চায়েতের কর্মীদের মোটর বাইকও। গ্রাম পঞ্চায়েতে আসার সময় এক সিপিএম সদস্যার স্বামীকেও রাস্তায় মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। পরে ভাঙচুরের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বকুলতলা থানার বিশাল পুলিশবাহিনী। সারা গ্রাম পঞ্চায়েত জুড়ে পড়ে রয়েছে ভাঙচুরের চিহ্ন।
গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপির প্রধান মানু মণ্ডলের অভিযোগ, যেহেতু গ্রাম পঞ্চায়েত বিজেপির দখলে রয়েছে। এবং তৃণমূল কোনওভাবেই গ্রাম পঞ্চায়েতে দখল নিতে পারছে না। সেই কারণেই আক্রোশ বশতঃ এই হামলা চালানো হয়েছে। এমনকি ক্রমাগত হুমকি দেওয়া হচ্ছে যাতে গ্রাম পঞ্চায়েতে কাজ না করা যায় বলে দাবি করেন তিনি। যদিও সেই ভাংচুরের ঘটনার অভিযোগ অস্বীকার করেছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। আরও পড়ুন: কন্যাশ্রী প্রকল্পের সেরার সেরা আলিপুরদুয়ার!