কলকাতা : মেলেনি পুলিশের অনুমতি। তবে তাতে থোড়াই কেয়ার! পুলিশি অনুমতি ছাড়াই হাতিশালায় হবে তৃণমূলের (Trinamool Congress) শান্তি মিছিল। সাফ জানিয়ে দিলেন ভাঙড়ের দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম (Trinamool Islam Arabul Islam)। অনুমতি পাই আর না পাই, মিছিল হবেই, সাফ দাবি আরাবুলের। প্রসঙ্গত, পতাকা লাগানোকে কেন্দ্র করে শনিবার এই হাতিশালাতেই ব্যাপক সংঘর্ষ বাধে আইএসএফ (ISF) ও তৃণমূলের (Trinamool Congress) কর্মী সমর্থকদের মধ্যে। আরাবুল বাহিনীর বিরুদ্ধে নওশাদের উপর হামলার অভিযোগ তুলেছে আইএসএফ। অন্যদিকে আইএএসফের বিরুদ্ধে তৃণমূলের একাধিক পার্টি অফিসে ভাঙচুর চালিয়ে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়ার পাল্টা অভিযোগ তুলেছে ঘাসফুল শিবির। এরমধ্যে ভাঙড়কাণ্ডের প্রতিবাদে বুধবার হাতিশালায় তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিবাদ সভার কথা ঘোষণা করেছিল ভাঙড় তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব।
দলীয় পার্টি অফিস ভাঙচুর ও তৃণমূল কর্মীদের মারধরের প্রতিবাদে আগেই প্রতিবাদ সভা ও ‘শান্তি মিছিলের’ ডাক দেওয়া হয় আরাবুল শিবিরের তরফে। কিন্তু, শান্তি মিছিলেই অশান্তির আঁচ পেয়েছে পুলিশ। এমনটাই মত ওয়াকিবহাল মহলের। সে কারণেই অনুমতি দেয়নি কলকাতা পুলিশ। তারপর থেকেই এ নিয়ে রাজনৈতিক মহলে বাড়ছিল চাপানউতর। ২৬ তারিখ পর্যন্ত হাতিশালা এলাকায় কোন জমায়েত করতে পারবে না রাজনৈতিক দলগুলি। সাফ জানিয়ে দিয়েছিল পুলিশ। কিন্তু, তারমধ্যেই আরাবুলের নয়া ঘোষণায় ‘টেনশন’ বাড়ছে রাজনৈতিক মহলে। আরাবুলের স্পষ্ট দাবি, দলের নির্দেশেই হবে ‘শান্তি মিছিল’।
আরাবুল বলেন, “আমাদের দল আমাদের অনুমতি দিয়েছে। মিছিল হবেই। তিনটি পার্টি অফিস জ্বালানো হয়েছে। কয়েকজন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছে। আমরা ভাঙড়ে সর্বদা শান্তি চাই। সে কারণেই আমরা শান্তি মিছিল করব। কারণ আমরা জানি ভাঙড়ের অনেক মানুষ ভুল বুঝছে। কী কারণে এত বড় ঘটনা ঘটল, কারা ঘটালো এ বিষয়ে সাধারণ মানুষ দিশেহারা। তাই আমরা মানুষকে একটা বার্তা দেওয়ার জন্য এখানে শান্তি মিছিল করতে চাই। আমরা সর্বদা মানুষের পাশে আছি এটা তাঁদের বোঝাতে চাই।”
প্রসঙ্গত, ধর্মতলায় পুলিশের সঙ্গে আইএসএফ কর্মী সমর্থকদের খণ্ডযুদ্ধ বাঁধতেই গ্রেফতার করা হয় বিধায়ক তথা আইএসএফ নেতা আব্বাস সিদ্দিকি সহ ১৯ জন আইএসএফ নেতা-কর্মীকে। অন্যদিকে ধর্মতলা ধর্মতলা থেকে ফেরার পথে গ্রেফতার করা হয় আরও ৪৩ আইএসএফ কর্মী-সমর্থককে। নওশাদ গ্রেফতার হতেই তাঁর মুক্তির দাবিতে জোরালো দাবি তুলেছে আব্বাস শিবির। আওয়াজ উঠেছে ফুরফুরা শরিফ থেকেও। বুধবারই পথে নামছে আইএসএফ। সপ্তাহভর রয়েছে কর্মসূচি। এদিকে এর আগে সোমবার সাংবাদিক সম্মেলন করেন আইএসএফের কার্যকরী সভাপতি শামসুর আলি মল্লিক। সেখান থেকেই দলের একাধিক প্রতিবাদ কর্মসূচির কথা জানিয়ে দেওয়া হয়। তবে ঝান্ডা ছাড়াই হবে প্রতিবাদ মিছিল। বেলা ১টায় শিয়ালদহ থেকে মিছিল শুরু হয়ে যাওয়ার কথা রয়েছে ধর্মতলায়। এরইমধ্যে ওইদিনই আরাবুলের শান্তি মিছিল নিয়ে বাড়ছে চাপানউতর।