কাকদ্বীপ: ‘কারও কাছ থেকে এক পয়সাও খাইনি। ১১ বছরে এক পয়সাও নিইনি।’ কাকদ্বীপের সভা থেকে বললেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় (Mamata Banerjee)। তৃণমূলে নবজোয়ার কর্মসূচির শেষে শুক্রবার এক মঞ্চে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মঞ্চ থেকেই নিজের স্বচ্ছতার ভাবমূর্তি আবারও তুলে ধরলেন মমতা। উল্লেখ্য, দুর্নীতি ও বেনিয়মের অভিযোগে সাম্প্রতিক অতীতে বার বার বিঁধেছে বিরোধীরা। শাসক দলের একাধিক তাবড় নেতা-মন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, গ্রেফতারিও হয়েছে। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের ভাবমূর্তির উপরে কোনও আঁচড় ফেলতে পারেনি বিরোধীরা। শুক্রবার কাকদ্বীপের সভা থেকে নিজের স্বচ্ছতার ভাবমূর্তি আবারও তুলে ধরলেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
তৃণমূল সুপ্রিমো বললেন, ‘আমার বাবা স্বাধীনতা সংগ্রামী ছিলেন। খুব অল্প বয়সে মারা গিয়েছেন। তখন আমার ৯-১০ বছর বয়স। অনেক কষ্ট করে এগিয়েছি আমরা। আজ পর্যন্ত কেউ বলতে পারবে না, আমি কারও কাছ থেকে এক পয়সাও খেয়েছি। আমি মুখ্যমন্ত্রীর কাজ করি। আমি মাসে দেড়-দুই লাখ টাকা মাইনে পেতে পারি। কিন্তু এই ১১ বছরে আমি এক পয়সাও নিইনি।’ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ছিলেন। একাধিকবার সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।
সেই কথা তুলে মমতা বললেন, ‘আমি পার্লামেন্টে সাত বারের সাংসদ। প্রায় ১ লাখ টাকার উপরে পেনশন পাই। দুটো মেলালে, প্রায় আড়াই-তিন লাখ টাকা মাসে পেতে পারি আমি। কিন্তু আমি এক পয়সাও নিই না। কারণ আমার প্রয়োজন পড়ে না। আমি একা মানুষ। কে খাবে?’ মমতার বক্তব্য, তাঁর ১২৫টি বই আছে এবং সেই বইয়ের রয়্যাল্টির টাকাতেই তাঁর চলে যায়।
মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্য নিয়ে বিজেপির রাজ্য মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘বই লিখে গিনিস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে ওনার নাম উঠে যাক, এটাই রাজ্যবাসী চাইবে। কার কীসে চলে যায়, কার কীসে চলছে না, সেই প্রসঙ্গ নিয়ে আলোচনার সময় এটা নয়। এখনও নির্বাচন আসেনি, মনোনয়ন পর্বেই মানুষ এই রক্তপাত দেখল।’