ডায়মন্ড হারবার: জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের হাতে গ্রেফতার হয়েছে দুই ব্যক্তি। উভয়েই ডায়মন্ড হারবারের বাসিন্দা। সাদ্দাম হোসেন খান ও সমীর হোসেন সেখ। সাদ্দামকে গ্রেফতার করা হয়েছে মুম্বইয়ের নির্মলনগর থেকে। সমীর গ্রেফতার হয়েছে ডায়মন্ড হারবারের চাঁদনগরের দেউলপোতা গ্রাম থেকে। মুম্বই থেকে গ্রেফতার সাদ্দাম ডায়মন্ড হারবারের পারুলিয়া কোস্টাল থানার আব্দালপুরের বাসিন্দা। স্থানীয় সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, সমীর ওই গ্রামের একটি মসজিদের ইমাম ছিল। পাশাপাশি একটি মাদ্রাসার শিক্ষকও ছিল। এর পাশাপাশি দর্জির কাজও করত সে। সেই সূত্র ধরেই সাদ্দামের সঙ্গে সমীরের আলাপ হয় বলে সূত্র মারফত জানা গিয়েছে। ধৃতদের মধ্যে দু’জনেরই বয়স বছর একত্রিশের আশপাশে।
এর পাশাপাশি আরও কিছু তথ্য উঠে এসেছে। জঙ্গি সন্দেহে ধৃত এই দু’জনের বাড়ির মধ্যে দূরত্ব মাত্র চার-পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যে। জানা গিয়েছে প্রায় মাস দেড়েক আগে দর্জির কাজ নিয়ে মুম্বই চলে গিয়েছিল সাদ্দাম। সাদ্দামের বাড়িতে রয়েছে তার বাবা, স্ত্রী ও তিন নাবালক সন্তান। ধৃত সাদ্দামের এক ভাই সাবির হোসেন খান আবার পারুলিয়া কোস্টাল থানার সিভিক ভলান্টিয়ারের কাজেও যুক্ত বলে জানা গিয়েছে। এই গ্রেফতারের খবর পৌঁছেছে তাঁদের কাছেও।
উল্লেখ্য, এর আগে গত শুক্রবার গভীর রাতেই ডায়মন্ড হারবারের দেউলপোতা এলাকায় বাড়িতে অভিযান চালিয়েছিলেন ডায়মন্ড হারবার পুলিশ এবং স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের অফিসাররা। সেখান থেকেই গ্রেফতার করা হয়েছিল সমীরকে। এক বছর আগেই বিয়ে হয়েছিল সমীরের। বাড়িতে সন্তানসম্ভবা স্ত্রী রয়েছে। প্রসঙ্গত, দুই ধৃতের পরিবারের লোকই মানতে চাইছেন না বাড়ির ছেলের এমন জঙ্গি যোগের কথা। তাঁদের দাবি, পরিকল্পনা করে ফাঁসিয়ে দেওয়া হয়েছে সাদ্দাম ও সমীরকে।
কিছুদিন আগেই উত্তর ২৪ পরগনার শাসনের খড়িবাড়ি এলাকা থেকে আলকায়দার উপমহাদেশীয় শাখা সংগঠনের সঙ্গে যোগ সন্দেহে দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছিল স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। সেই ঘটনার পর আরও দুইজনকে জঙ্গি যোগের সন্দেহে গ্রেফতার করল এসটিএফ।