পুজোর মুখেই ‘তৃতীয় ঢেউ’! শিশুদের কথা ভেবে আগাম সতর্কতা নিল দুই হাসপাতাল

TV9 Bangla Digital | Edited By: সৈকত দাস

Sep 03, 2021 | 10:39 PM

Corona Third Wave: শিশুদের সংক্রমণের কথা মাথায় রেখে ডায়মন্ড হারবার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও কাকদ্বীপ মহকুমা হাসপাতালে শিশুদের জন্য শয্যা সংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিল কর্তৃপক্ষ।

পুজোর মুখেই ‘তৃতীয় ঢেউ’! শিশুদের কথা ভেবে আগাম সতর্কতা নিল দুই হাসপাতাল
প্রতীকী চিত্র

Follow Us

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: করোনার (Corona) দ্বিতীয় ঢেউয়ের (Second Wave) আতঙ্ক কাটিয়ে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে রাজ্যের জনজীবন। কিন্তু তার মধ্যেই ভয় ধরাচ্ছে তৃতীয় ঢেউ (Third Wave)। আর সেদিকে খেয়াল করেই বিশেষ করে শিশুদের সংক্রমণের কথা মাথায় রেখে ডায়মন্ড হারবার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও কাকদ্বীপ মহকুমা হাসপাতালে শিশুদের জন্য শয্যা সংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিল কর্তৃপক্ষ। একইসঙ্গে ডায়মন্ড হারবারের শতাব্দী প্রাচীন রেড ক্রস সোসাইটির স্বাস্থ্যকেন্দ্র মাতৃসদনকে সংস্কারের পরিকল্পনা নিয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন।

রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি কিছুটা ভাল হলেও যে কয়েকটি জেলার সংক্রমণ হার বিশেষজ্ঞদের চিন্তায় ফেলছে তার মধ্যে একটি জেলা হল দক্ষিণ ২৪ পরগনা। তৃতীয় ঢেউয়ের দিকে নজর রেখে তাই আগেভাগে প্রস্তুতি নিচ্ছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা। ডায়মন্ড হারবার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও কাকদ্বীপ মহকুমা হাসপাতালে শিশুদের জন্য শয্যা সংখ্যা বাড়ানো ছাড়াও রেড ক্রস সোসাইটির স্বাস্থ্যকেন্দ্র মাতৃসদনকে প্রস্তুত করা হচ্ছে।

১৮৬৩ সালে ডায়মন্ড হারবার পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে প্রায় চার বিঘা জায়গায় উপর তৈরি হওয়া রেডক্রস সোসাইটির ‘মাতৃ সদন’ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে শহর-সহ পার্শ্ববর্তী এলাকার মা ও শিশুদের চিকিৎসার একমাত্র ভরসার জায়গা ছিল। পরিকাঠামোর অভাবে দীর্ঘদিন ধরে বেহাল হয়ে পড়েছিল। করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের কথা মাথায় রেখে সেই মাতৃসদনের ভবন দ্রুত সংস্কার করে মা ও শিশুদের চিকিৎসা পরিষেবা চালু করার পাশাপাশি রক্তদান শিবিরের মাধ্যমে হাসপাতালের ব্লাড ব্যঙ্কগুলোয় রক্তের ঘাটতি মেটাতে রেডক্রসকে কাজে লাগানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন।

ইতিমধ্যে সংস্কারের কাজের জন্য প্রায় ২০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পরিষদ। পুরসভার তত্ত্বাবধানে ইতিমধ্যে সংস্কারের কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে। অন্যদিকে তৃতীয় ঢেউয়ে (Third Wave) শিশুদের সংক্রমণের আশঙ্কা করে ডায়মন্ড হারবার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১২টি সিসিইউ, ২৫টি পিকু (PICU) ও ১০০টি জেনারেল বেড বাড়ানো হচ্ছে। একইরকমভাবে কাকদ্বীপ মহকুমা হাসপাতালেও বাড়ান হচ্ছে শয্যা সংখ্যা। দুই হাসপাতালেই পাইপ লাইনের মাধ্যমে অক্সিজেন পরিষেবা চালু করা হয়েছে।

উল্লেখ্য়, করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের আগে প্রস্তুতির নিরিখে মূলত দু’টি বিষয়ে অগ্রাধিকার দিচ্ছে স্বাস্থ্যভবন। টিকাকরণে গতি, কোভিড আক্রান্ত কম বয়সীদের চিকিৎসায় পরিকাঠামোয় জোর। শহরের পরে পঞ্চায়েত এলাকাতেও টিকাকরণের হার বৃদ্ধিতে নজর দিচ্ছে রাজ্য। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনে পিকু (PICU), এসএনসিইউ (SNCU), পেডিয়াট্রিক এইচডিইউ-এর পরিকাঠামো তৈরি রাখতে বলা হয়েছে। মৃদু-মাঝারি উপসর্গ যুক্ত কমবয়সিদের (৩ মাস-১২ বছর) জন্য রাজ্যজুড়ে ১০ হাজার শয্যা চিহ্নিত করা হয়েছে। তাছাড়া কোভিড আক্রান্ত ১ দিন থেকে ৩ মাসের শিশুদের জন্য ৩৫০টি এসএনসিইউ (SNCU) শয্যার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। প্রাথমিক স্তরের চিকিৎসা কেন্দ্রগুলির সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের টেলি কনসালটেশনের মাধ্যমে পরামর্শের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আরও পড়ুন: এত বড় বাজার, একটি দোকানেও নেই ট্রেড লাইসেন্স!

Next Article