বজবজ: আবারও বাতিস্তম্ভে হাত লাগতেই দুর্ঘটনা। পাইপলাইনে কাজ করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট দুই শ্রমিক।
বজবজ পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের বালুরঘাট এলাকায় পাইপ লাইনের কাজ করতে যান দুই শ্রমিক। সেখানে রাস্তা কাটার সময় লোহার শাবল নিয়ে মাটি খুঁড়ছিলেন ওই শ্রমিকরা। তখই রাস্তার নিচে থাকা সিএসসির তারে লাগলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন এক শ্রমিক। তাকে বাঁচাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন আরও একজন। এই ঘটনার স্থানীয় বাসিন্দারা দেখতে পেয়ে তাঁদের কোনও রকমে উদ্ধার করার পাশাপাশি বজবজ থানায় খবর দেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছায়। তারা গিয়ে আহতদের দুজনকেই বজবজের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে নিয়ে যায় চিকিৎসার জন্য। বর্তমানে তাঁরা আশঙ্কা জনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে।
আহতদের নাম তপন মালি(২৯) তপনবাবু জিবনতলার বাসিন্দা। আর একজন ধ্রুব মণ্ডল (৩২) তিনি যাদবপুরের বাসিন্দা। আহত দুইজন শ্রমিকই কেএমডিএ কর্মী। এই ঘটনার পর গোটা এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় ছিল। তারপর সিএসসির কর্মীরা এসে বিদ্যুতের কাজ শুরু করলে এলাকায় বিদ্যুৎ ফিরিয়ে আনে। এই বিষয়ে এক এলাকার এক দোকানদার জানান, ‘বিদ্যুতের লাইনে কাজ হচ্ছিল। ইলেকট্রিক লাইন ছিল ওরা তাতে শাবল মেরে দিয়েছে। তারপর শট খেয়ে গিয়েছে। প্রথমে একজন শট খায় তারপর তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে অপরজনও শট খেয়ে যায়। পরে পুলিশ এসে হাসপাতালে ভর্তি করে দু’জনকে।’
বস্তুত, রাজ্যে একের পর এক বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু ঘটনা সামনে এসেছে। কয়েকদিন আগেই হরিদেবপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে কিশোরের। সেই ঘটনার এক সপ্তাহ কাটতে না কাটতেই শনিবার ফের মৃত্যু হয় আর এক কিশোরের। শুধু কলকাতা নয়, একই ছবি জেলায়। উলুবেড়িয়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু আরও এক যুবকের।মৃতের নাম সুব্রত মণ্ডল (২৫)। সুব্রতবাবু ধুলাগড়ে একটি বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত ছিলেন। শনিবার রাত্রিবেলা লাগাতার বৃষ্টি হচ্ছিল হাওড়ায়। কাজ শেষ করে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। স্থানীয় সূত্রে খবর, রাস্তার উপর একটি নির্জন জায়গায় তার ছিঁড়ে পড়ে। সুব্রতবাবুর সাইকেল ওই তারের সঙ্গে জড়িয়ে যায়। তারপরই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় যুবকের।